প্রফেসর জিন্নাত আলী।।
একজনের খাদ্য- আরেকজনের মৃত্যুর কারণ। চলমান আমাদের অতি প্রিয় বিশ্বটা এইভাবেই আবর্তিত হচ্ছে। অর্থাৎ খাদ্য-খাদকের সম্পর্কই তো বাস্তুতন্ত্রের মূল ভিত৷ তার উপর দাঁড়িয়েই পৃথিবী হয়ে উঠেছে সকলের বাসযোগ্য৷
তবে এই খাদ্য-খাদকের সমীকরণ অন্যরকম হলেই, তা আশ্চর্যই লাগে বটে৷ এমনই আশ্চর্যজনক দৃশ্য এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল৷ অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের এক নদীতে কায়াক ভ্রমণ করছিলেন মার্টিন মুলার নামে এক ব্যক্তি৷ তখনই তাঁর চোখে পড়ে সেই রোমহর্ষক দৃশ্য৷ নদীর তীরঘেঁষা একটি জায়গায় ধীরে ধীরে যেন ছোট হয়ে যাচ্ছে একটি বৃহদাকার কুমির৷
ব্যাপারটা কী? বোঝার জন্য খানিকটা কাছে গিয়ে তিনি যা দেখলেন, তাতে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, পরে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুলার৷ দেখলেন, ওই বড়সড় কুমিরটাকে আস্ত গিলে নিচ্ছে তার চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বড় একটা সবজেটে রঙের পাইথন৷
এই দৃশ্য মুলারকে প্রায় পাথর করে দিয়েছিল৷ তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সম্বিৎ ফিরে পেয়ে তিনি আর সময় নষ্ট করেননি৷ অজগরের কুমির ভক্ষণের দৃশ্য একের পর এক ক্যামেরাবন্দি করে গেলেন৷ যতক্ষণে অজগরটি কুমিরের দেহের শেষাংশটুকু গলাধকরণ করলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সেদিক থেকে চোখ সরাননি মুলার৷ এবং ছবিও তুলে গিয়েছেন৷
সেসব ছবি তিনি তুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বেচ্ছাসেবী এক বন্যপ্রাণ সংরক্ষক সংস্থা জিজি ওয়াইল্ডলাইফের হাতে৷ তাঁরা ছবিগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, ভক্ষক প্রজাতিতে অলিভ পাইথন, দ্বিতীয় বৃহত্তম সাপ৷ এদের প্রিয় খাবার এই স্বচ্ছ জলের কুমির৷ এমনিতে একটু গভীর জঙ্গলে থাকলেও, খিদের চোটে জলাশয়ের দিকে চলে আসে৷ এবং কুমিরগুলোকে এভাবেই আস্ত গিলে খায়৷
তারপর আবার বেশ কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর শিকারের খোঁজে সক্রিয় হয়ে ওঠে অলিভ পাইথন৷ মুলারের এই ছবি জিজি ওয়াইল্ডলাইফ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে৷ আর তারপর থেকেই ভাইরাল অজগরের কুমির ভক্ষণের ছবি৷