বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ার সেই আলোচিত হাঁস খামারী হাশেম-কাশেম অনুদানে টাকা নিয়ে দন্দ্ব

 হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমূল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের আলোচিত হাঁস খামারী হাশেম-কাশেম অনুদানের টাকা নিয়ে চলছে তদের মাঝে চরম দন্দ্ব। দুইজনের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠায় মঙ্গলবার(১৮ জুন) কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের ধারস্থ হয়েছেন কাশেম। জানা গেছে, উপজেলার বলাইশিমূল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের আবুল হাশেম প্রতিবন্ধী চাচা আবুল কাশেমকে নিয়ে একটি হাঁসের খামার গড়ে তুলেন। গত ৩ মাস আগে হাশেম কাশেম মিলে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামারে ১ হাজার ৭ শত হাঁসের বাচ্চা তুলে খামার টি পরিচর্যা করতে থাকেন হাশেম – কাশেম । জানাযায়, গত ৯ জুন সকাল বেলায় হাঁসগুলো খামারের সামনে একটি পরিত্যাক্ত জমিতে খাবার খাওয়াতে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যে হঠাৎ খামারের প্রায় অধের্কের উপরে হাঁস বিষক্রীয়া আক্রান্ত হয়। পরে তাৎক্ষনিক ৪০০ টি হাঁস মারা যায়।বাকি হাঁস গুলিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হলে ভাল হয়ে উঠে। কিন্তু বিষয়টি ভূলভাবে হাঁসের মালিকগণের বরাতদিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ৮ শত হাঁস মারা যাওয়ার খবর প্রচার করা হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নজরে আসে। পরে তিনি ৮শ হাঁসের সহায়তার ঘোষনা দেয়ার পরেই প্রতিবন্ধী হাঁস খামারী কাশেম হয়ে যায় হিরো। আসতে শুরু করে সারা বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি মহল থেকে আর্থিক সহযোগিতা। অর্থ আসে দেশের বাইরে থেকেও। তবে এই সহযোগিতার অর্থের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে চাচা-ভাতিজা-হাশেম-কাশেম মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ। চাচা আবুল কাশেমের দাবী তিনি প্রতিবন্ধী তাই লোকজন তাকে দেখে এই আর্থিক সহযোগিতা করছেন। যে কারণে তিনি ভাতিজাকে এর ভাগ দিতে চান না। অপরদিকে আবুল হাশেমের দাবী দুইজনে মিলে খামার দিয়েছি,লোকসান গেলে উভয়েরই যেত। তাই এই সহযোগিতার অর্থ দু‘জনই সমান অধিকার। এদিকে গণমাধ্যমকর্মীরা কার কাছ থেকে কত টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে সঠিক তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন কাশেম। এক পর্যায়ে লাখ টাকার উপরে সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জান বলেন,হাঁস খামারীদের অনুদানের টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে প্রতিবন্ধী কাশেম থানায় এলে বিষয়টি সমাধানের জন্য দু‘জনকেই থানায় আসতে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

কেন্দুয়ার সেই আলোচিত হাঁস খামারী হাশেম-কাশেম অনুদানে টাকা নিয়ে দন্দ্ব

প্রকাশের সময় : ০২:২৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

 হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমূল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের আলোচিত হাঁস খামারী হাশেম-কাশেম অনুদানের টাকা নিয়ে চলছে তদের মাঝে চরম দন্দ্ব। দুইজনের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠায় মঙ্গলবার(১৮ জুন) কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের ধারস্থ হয়েছেন কাশেম। জানা গেছে, উপজেলার বলাইশিমূল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামের আবুল হাশেম প্রতিবন্ধী চাচা আবুল কাশেমকে নিয়ে একটি হাঁসের খামার গড়ে তুলেন। গত ৩ মাস আগে হাশেম কাশেম মিলে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামারে ১ হাজার ৭ শত হাঁসের বাচ্চা তুলে খামার টি পরিচর্যা করতে থাকেন হাশেম – কাশেম । জানাযায়, গত ৯ জুন সকাল বেলায় হাঁসগুলো খামারের সামনে একটি পরিত্যাক্ত জমিতে খাবার খাওয়াতে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যে হঠাৎ খামারের প্রায় অধের্কের উপরে হাঁস বিষক্রীয়া আক্রান্ত হয়। পরে তাৎক্ষনিক ৪০০ টি হাঁস মারা যায়।বাকি হাঁস গুলিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হলে ভাল হয়ে উঠে। কিন্তু বিষয়টি ভূলভাবে হাঁসের মালিকগণের বরাতদিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ৮ শত হাঁস মারা যাওয়ার খবর প্রচার করা হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নজরে আসে। পরে তিনি ৮শ হাঁসের সহায়তার ঘোষনা দেয়ার পরেই প্রতিবন্ধী হাঁস খামারী কাশেম হয়ে যায় হিরো। আসতে শুরু করে সারা বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি মহল থেকে আর্থিক সহযোগিতা। অর্থ আসে দেশের বাইরে থেকেও। তবে এই সহযোগিতার অর্থের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে চাচা-ভাতিজা-হাশেম-কাশেম মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ। চাচা আবুল কাশেমের দাবী তিনি প্রতিবন্ধী তাই লোকজন তাকে দেখে এই আর্থিক সহযোগিতা করছেন। যে কারণে তিনি ভাতিজাকে এর ভাগ দিতে চান না। অপরদিকে আবুল হাশেমের দাবী দুইজনে মিলে খামার দিয়েছি,লোকসান গেলে উভয়েরই যেত। তাই এই সহযোগিতার অর্থ দু‘জনই সমান অধিকার। এদিকে গণমাধ্যমকর্মীরা কার কাছ থেকে কত টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে সঠিক তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন কাশেম। এক পর্যায়ে লাখ টাকার উপরে সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জান বলেন,হাঁস খামারীদের অনুদানের টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে প্রতিবন্ধী কাশেম থানায় এলে বিষয়টি সমাধানের জন্য দু‘জনকেই থানায় আসতে বলা হয়েছে।