রোকনুজ্জামান রিপন ।।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তথ্য প্রকাশ করে যে মন্তব্য করেছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক। প্রিয়া সাহার এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের সর্বোস্তরের তৌহিদী জনতার হৃদয়ে আঘাত করেছে এবং এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। শনিবার (২০ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী কর্তৃক প্রেরিত বিবৃতিতে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা) এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রের পদে আসীন হয়েও কিভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন তথ্য ভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরতে পারে তা বোধগম্য নয়। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সকল ধর্মের লোকেরা একসঙ্গে বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এবং তারা এদেশে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার পরিপূর্ণভাবে ভোগ করে আসছেলাদেশের ওলামায়ে কেরাম, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ফান্ডামেন্টালিস্ট বা মৌলবাদী আখ্যা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রতি এদেশের মুসলমানদের যে অবদান, সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ইত্যাদি অস্বীকার করে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ দেখিয়েছে, যাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার চরম পর্যায় বলে মনে হয়।
আল্লামা আহমদ শাহ শফী কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে প্রিয়া সাহা’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। তা নাহলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এধরণের দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম এ দেশের সর্বস্তরের তৌহিদী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।