সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষক  কর্তৃক বিদ্যালয়ের এক  শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ে।  

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃঃ-   মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ (৫৬) কর্তৃক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মামলার পর থেকে ওই প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।  তিনি উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে।  গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে ওই সহকারী শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় থানায় মামলা করেছেন।

এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৭ জুলাই কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা।  পরে ইউএনও’র নির্দেশে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনটিআরসির মাধ্যমে উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান ওই শিক্ষিকা। যোগদানের পর শিক্ষিকার এমপিও পদ করার জন্য  স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ তার সমস্ত কাগজাদি ও ফাইল রেডি করে যত টাকা খরচ লাগবে তিনি সেই টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।  বিনিময়ে ওই শিক্ষিকাকে তার দেয়া নানা ধরণের যৌন হুয়রানি মূলক আচরণ ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হতে হবে।

এই লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলের দপ্তরির মাধ্যমে তার রুমে ডেকে নিয়ে শিক্ষিকাকে কুরুচিপূর্ণ, অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে যৌন হুয়রানি করে আসছিলেন তিনি।  পরে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শ্রীমঙ্গলের একটি রেস্টহাউসে ঘুরে আসার কথা বলেন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বিভিন্ন সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্কুলের দপ্তরীর মাধ্যমে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।  কিন্তুু শিক্ষিকা এই প্রস্তাবে রাজি হননি।  এ ঘটনা এলাকায় চাউর হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে শুরু হয় তোলপাড়।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষিকা। আসামী নোমান আহমদকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

মণিরামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

প্রধান শিক্ষক  কর্তৃক বিদ্যালয়ের এক  শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ে।  

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃঃ-   মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সীমান্তবর্তী তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ (৫৬) কর্তৃক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মামলার পর থেকে ওই প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।  তিনি উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে।  গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে ওই সহকারী শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় থানায় মামলা করেছেন।

এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৭ জুলাই কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা।  পরে ইউএনও’র নির্দেশে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনটিআরসির মাধ্যমে উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান ওই শিক্ষিকা। যোগদানের পর শিক্ষিকার এমপিও পদ করার জন্য  স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ তার সমস্ত কাগজাদি ও ফাইল রেডি করে যত টাকা খরচ লাগবে তিনি সেই টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।  বিনিময়ে ওই শিক্ষিকাকে তার দেয়া নানা ধরণের যৌন হুয়রানি মূলক আচরণ ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হতে হবে।

এই লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলের দপ্তরির মাধ্যমে তার রুমে ডেকে নিয়ে শিক্ষিকাকে কুরুচিপূর্ণ, অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে যৌন হুয়রানি করে আসছিলেন তিনি।  পরে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শ্রীমঙ্গলের একটি রেস্টহাউসে ঘুরে আসার কথা বলেন প্রধান শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বিভিন্ন সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্কুলের দপ্তরীর মাধ্যমে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।  কিন্তুু শিক্ষিকা এই প্রস্তাবে রাজি হননি।  এ ঘটনা এলাকায় চাউর হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে শুরু হয় তোলপাড়।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষিকা। আসামী নোমান আহমদকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।