প্রফেসর জিন্নাত আলী।।
মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বর একটি ভয়াবহ আকার নিয়েছে আমাদের দেশে। এই জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত সংক্রমণের তিন থেকে ১৪ দিন পরে শুরু হয়। এরমধ্যে থাকে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশিতে ব্যথা এবং ত্বকে র্যাশ ওঠা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে কলম্বিয়া এশিয়া রেফারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ পবিত্র সেন রাজ বলেন, একটি মশা যখন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেয় তখন ভাইরাসটি মশার মধ্যে প্রবেশ করে। সংক্রামিত মশা যখন অন্য ব্যক্তিকে কামড় দেয় তখন ভাইরাসটি সেই ব্যক্তির রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। এজন্য প্রথমে সতর্ক থাকতে হবে, যেন মশা আমাদের না কামড়াতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব খাবার খেতে হবে:
পেঁপে পাতা
পেঁপে পাতার নির্যাস পেঁপেইন এবং কিমোপেইন সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে। প্রতিদিন আধা কাপ তাজা পেঁপে পাতার রস রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে।
বেদানা : প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ বেদানা শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে। বেদানা
খেলে ক্লান্তি দূর হয়। আয়রনের সমৃদ্ধ হওয়ায় বেদানা প্লেটলেট বাড়াতে সহায়তা করে। ডাবের পানি :
ডেঙ্গু সাধারণত ডিহাইড্রেশনের ফলে ঘটে। সুতরাং, শরীরকে আদ্র রাখতে ডাবের পানি যা করা অত্যন্ত উপকারী।
হলুদ : একটি অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। ফলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। মেথি : মেথি খেলে ঘুম ভালো হয়, এটি ব্যথা কমাতেও কার্যকর। কমলা : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা ডেঙ্গু ভাইরাসের চিকিৎসা এবং নির্মূল করতে সহায়তা করে। পালং শাক : পালং শাক আয়রন ও ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। প্লেটলেট স্তর বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় নিয়মিত পালং শাক খাওয়া।
ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব খাবার খাবেন না
বেশি তেলে ভাজা খাবার : তৈলাক্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। চা-কফি : ডেঙ্গু হলে দেহে প্রচুর পরিমাণে তরল প্রয়োজন। তবে এই তরলের উৎস চা-কফি বা কোমল পানীয় নয়। সরাসরি পানি, ডাবের পানি আর টাটকা ফলের রসপান করুন।
প্রাথমিক লক্ষণ শুরুর পরে ডেঙ্গু জ্বর দ্রুত বাড়তে পারে। এই লক্ষণগুলো নজরে আসা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।