শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দু’নারী প্রতারকের খপ্পড়ে জুয়েলার্স মালিক, গহনা নিয়ে চম্পট

নজরুল ইসলাম ।।

যশোর শহরের বেজাপাড়া তালতালার মোড়ের ফিরোজ জুয়েলার্স থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকা মূল্যের সোনার গহনা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অজ্ঞাত দুই নারী সোনার গহনা কেনার নাম করে ওই কৌশলে ওই গহনা হাতিয়ে নিয়েছে।

ফিরোজ জুয়েলার্সের মালিক ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞাত দুই নারী তার দোকানে আসেন। মেয়ের বিয়ের চেইন গড়বেন বলে তারা প্রস্তাব দেন এবং তিন ভরি সাত আনা ওজনের একটি সোনার গহনা দেখান। নতুন গহনার জন্য ওই পুরনো সোনার চেইন দিয়ে দেন। এরপর ফিরোজ আলম বাজার থেকে ২ ভরি নয় আনা ওজনের একটি নতুন চেইন নিয়ে এসে তাদের দেন। পুরনো ও নতুন গহনার মূল্য হিসাব করে ওই দুই নারী আরো আড়াই হাজার টাকা পাবেন মালিকের কাছে। এরপর ওই দু’নারী গহনা পছন্দ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে গহনা নিবেন না বলে জানান। ফিরোজ আলম তাদের সোনার গহনা ফেরত দেন। কিন্তু পরক্ষণে মত বদলিয়ে ফের নতুন সোনা নিবেন বলে জানায়। সে সময় ফিরোজ আলম দোকান কর্মচারি আজগরকে রেখে পাশের দোকানে জুস কিনতে গেলে কৌশলে ওই দুই নারী তাদের গহনা পরিবর্তন করে একই ডিজাইনের সিটি গোল্ডের গহনা বাক্সে ভরে তার হাতে দিয়ে চলে যান।

পরে ফিরোজ আলম বাক্স খুলে দেখেন সোনার গহনা পরিবর্তে সিটি গোল্ডের গহনা বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ততক্ষণে ওই দুই নারী দোকান থেকে চলে যান। তাদের প্রতারনার শিকার হয়ে ফিরোজ আলম দুই ভরি ৯ আনা ওজনের সোনার চেইন ও আড়াই হাজার টাকা খুইয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিক বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়েছেন। কিন্ত তাদের পাননি।

ফিরোজ আলম জানিয়েছে, দুই নারীর বয়স ৩৫/৩৬ বছর হবে। তাদের গায়ে রং কালো। এদের মধ্যে একজন প্রচুর পান খায়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

দু’নারী প্রতারকের খপ্পড়ে জুয়েলার্স মালিক, গহনা নিয়ে চম্পট

প্রকাশের সময় : ১০:১১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯

নজরুল ইসলাম ।।

যশোর শহরের বেজাপাড়া তালতালার মোড়ের ফিরোজ জুয়েলার্স থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকা মূল্যের সোনার গহনা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অজ্ঞাত দুই নারী সোনার গহনা কেনার নাম করে ওই কৌশলে ওই গহনা হাতিয়ে নিয়েছে।

ফিরোজ জুয়েলার্সের মালিক ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞাত দুই নারী তার দোকানে আসেন। মেয়ের বিয়ের চেইন গড়বেন বলে তারা প্রস্তাব দেন এবং তিন ভরি সাত আনা ওজনের একটি সোনার গহনা দেখান। নতুন গহনার জন্য ওই পুরনো সোনার চেইন দিয়ে দেন। এরপর ফিরোজ আলম বাজার থেকে ২ ভরি নয় আনা ওজনের একটি নতুন চেইন নিয়ে এসে তাদের দেন। পুরনো ও নতুন গহনার মূল্য হিসাব করে ওই দুই নারী আরো আড়াই হাজার টাকা পাবেন মালিকের কাছে। এরপর ওই দু’নারী গহনা পছন্দ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে গহনা নিবেন না বলে জানান। ফিরোজ আলম তাদের সোনার গহনা ফেরত দেন। কিন্তু পরক্ষণে মত বদলিয়ে ফের নতুন সোনা নিবেন বলে জানায়। সে সময় ফিরোজ আলম দোকান কর্মচারি আজগরকে রেখে পাশের দোকানে জুস কিনতে গেলে কৌশলে ওই দুই নারী তাদের গহনা পরিবর্তন করে একই ডিজাইনের সিটি গোল্ডের গহনা বাক্সে ভরে তার হাতে দিয়ে চলে যান।

পরে ফিরোজ আলম বাক্স খুলে দেখেন সোনার গহনা পরিবর্তে সিটি গোল্ডের গহনা বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। ততক্ষণে ওই দুই নারী দোকান থেকে চলে যান। তাদের প্রতারনার শিকার হয়ে ফিরোজ আলম দুই ভরি ৯ আনা ওজনের সোনার চেইন ও আড়াই হাজার টাকা খুইয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিক বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়েছেন। কিন্ত তাদের পাননি।

ফিরোজ আলম জানিয়েছে, দুই নারীর বয়স ৩৫/৩৬ বছর হবে। তাদের গায়ে রং কালো। এদের মধ্যে একজন প্রচুর পান খায়।