মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃঃ-
সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ও চাকুরি সরকারিকরণের দাবিতে ২৩ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কমলগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী-কর্মকর্তারা । এ কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় অবস্থান করার ফলে পৌরবাসী নাগরিক সেবা হযবরল হয়ে পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। তবে নাগরিক সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র।
পৌরসভার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত থাকায় প্রতিদিন পৌর নাগরিকরা জাতীয় সনদ, জন্মনিবন্ধন, জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, পৌরকর, ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন কাজ করতে এসে ফিরতে হচ্ছে। ২৩ দিন ধরে পৌরসভার কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাদের কর্মস্থলে নেই। তারা দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য ঢাকায় অবস্থান করায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পৌরসভায় এসে কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই পৌর কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার আনসার শোকরানা মান্না জানান, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে পৌরসভাকে সচল করার দাবি জানান তিনি।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব, কর-নির্ধারক, কর আদায়কারী বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে বেতনের দাবি দীঘদিনের। এ দাবি আদায়েই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ন্যায্য দাবির প্রতি গুরুত্ব দেবেন।
অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. কয়ছর মিয়া বলেন, ‘৫ মাস ধরে বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। মাসের পর মাস কাজ করে বেতন পাই না। মাসিক বেতন যাতে রাজস্ব থেকে পাই এ দাবিতেই আন্দোলন করছি আমরা।’
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জের পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ কর্মকর্তা কর্মচারীগণের আন্দোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নাগরিক সেবা থেকে পৌরবাসী কেউ বঞ্চিত হচ্ছে না। কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও মাস্টার রোলে নিয়জিত কর্মচারীদের সহায়তায় আমরা পৌরবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
আব্দুস সামাদ আজাদ, মৌলভীবাজার