
বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তরে এই সংক্রান্ত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিটিসিএলকে জনবান্ধব এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং সর্বোচ্চ সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে জনবান্ধব সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
এর আগে মন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান জনবলকে আধুনিক প্রযুক্তি উপযোগী করে তৈরি, বিডি ডোমেইন নিবন্ধন ফি ও টেলিফোন সংযোগের ডিমান্ড নোট পদ্ধতি পরিবর্তন, গ্রাহক সেবা অটোমেশন করে বিটিসিএলকে জনবান্ধব ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে লাগসই কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অটোমেশন পদ্ধতিতে ঘরে বসেই যাতে গ্রাহকগণ যাতে সেবা পেতে পারেন এ বিষয়েও তিনি করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতির দেশে ঢুকেছে বাংলাদেশ। অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ ফাইভজি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করবে। শহর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য যাতে না হয় সেই লক্ষ্যে দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত বিদ্যমান ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ফাইভজি উপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী বিটিসিএল এর নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। মন্ত্রী বিটিসিএল এর সকল ফোন সচল রাখা ও সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিসিএল এর উধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।