মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানি দেয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম

তানজীর মহসিন ।।

মোট তিন দিন কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই কোরবানি করা উত্তম। (মুয়াত্তা মালেক : ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২৯৫)

যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব, তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েজ। (বুখারি : ২/৮৩২, ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৮)

একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কোরবানি করলে কারোটাই শুদ্ধ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের অধিক শরিক হলে কারো কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (সহিহ মুসলিম : ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক : ১/৩১৯, কাজিখান : ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭-২০৮)

আবার সাত শরিকে কোরবানি করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন—কারো আধাভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানিই শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)

এসব প্রাণীর মধ্যে সাত ভাগেই কোরবানি করা জরুরি নয়, সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন—দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করাও জায়েজ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

কোরবানি দেয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯

তানজীর মহসিন ।।

মোট তিন দিন কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই কোরবানি করা উত্তম। (মুয়াত্তা মালেক : ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২৯৫)

যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব, তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েজ। (বুখারি : ২/৮৩২, ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৮)

একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কোরবানি করলে কারোটাই শুদ্ধ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের অধিক শরিক হলে কারো কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (সহিহ মুসলিম : ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক : ১/৩১৯, কাজিখান : ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭-২০৮)

আবার সাত শরিকে কোরবানি করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন—কারো আধাভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানিই শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)

এসব প্রাণীর মধ্যে সাত ভাগেই কোরবানি করা জরুরি নয়, সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন—দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করাও জায়েজ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)