শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোলে আটক এশিয়ার সর্ববৃহৎ চালান ভায়াগ্রার উওেজনায় ফুসেছে গডফাদাররা —কমিশনার বেলাল চৌধুরীকে হুমকী

তানজীর মহসিন ।।

বেনাপোলে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রার চালান আটক করে চোরাকারবারীদের  রোষানলে পড়েছেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। পেশাগত জীবনে লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে যিনি বারবার দেশ ও জাতির পক্ষে কাজ করে গেছেন তাকে পড়তে হয় দেশবিরোধী শক্তির রোষানলে।

নোয়াখালীর দেশপ্রেমিক সন্তান বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরী এশিয়ার বৃহত্তম আড়াই মেট্রিকটন (সাড়ে ১২ হাজার কেজি) ভায়াগ্রা চালান আটক করায় ভায়াগ্রা গডফাদাররা তার বিরুদ্ধে  নানা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। ভায়াগ্রার চালান আটকের পর ৪৩ টি শুল্ক পয়েন্টে রেড এলার্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। তযাতে অণ্য কোন শুল্ক স্টেশন দিয়ে এ ধরনের মিথ্যা  ঘোষনায়  ভায়াগ্রা আমদানি করতে না পারে।

বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন বলছেন, ভায়াগ্রা গডফাদাররা তাদের ইচ্ছামতো তথ্য দিয়ে দেশের কিছু পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। গডফাদারদের সরবরাহকৃত ভুল তথ্য কিছু পত্রপত্রিকা গডফাদারদের এতই নিয়ন্ত্রণে যে প্রকাশিত সংবাদে বেলাল চৌধুরীর জন্মস্থান পাল্টে দিচয়েছে। অলৌকিক সন্তানও সৃষ্টি করছে। প্রকাশিত সংবাদে বেলাল চৌধুরীকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে বেলাল চৌধুরীর বাড়ি বেগমগঞ্জে শরীফপুরে। প্রকাশিত সংবাদপত্রে অলৌকিকভাবে বেলাল চৌধুরীর মেয়ে আবিস্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরীর ছেলে-মেয়ে কানাডায় পড়াশুনা করছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেলাল চৌধুরীর কোন মেয়ে নেই তার দুই ছেলে ঢাকার স্কুলে পড়ছেন। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরীর শ্যালকের নামে সম্পদ রয়েছে কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার কোন শ্যালক নাই।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরী একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক। কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে যে, বেলাল চৌধুরী যে ফ্ল্যাটে থাকেন তা তার স্ত্রীর নামে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ক্রয় করা। এই লোনটি এখনো বিদ্যমান। আরো জানা গেছে, বেলাল চৌধুরীর কোন ভাই-ই গার্মেন্টস ব্যবসা কিংবা চাকরিতে জড়িত নয়। ৮ আগস্ট দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানী ১২ কোটি টাকা মূল্যের ভায়াগ্রা চালান আটক এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ আটকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সেরা কামস্টস কর্মকর্তা বেলাল চৌধুরী। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর সরকার প্রশাসনের তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় আন্তঃদেশীয় তদবীর। কোটি কোটি টাকার লোভ লালসা কোন কিছুর কাছেই হার মানেননি বেলাল চৌধুরী। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিরমুখে না ফেলে দেশ ও মাতৃকার টানে বেলাল চৌধুরী ভায়াগ্রা গডফাদারদের ছাড় দেননি। এ বিশাল পরিমাণ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর ভায়াগ্রার গডফাদাররা বেলাল চৌধুরীকে হুমকী দিচ্ছে নানাভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি ইতোমধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দরকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে এক নতুন ইতিহাস। আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কমিশনার নিঃসন্দেহে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি।”

পেশাগত জীবনে লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে স্বমহিমায় যিনি আলো ছড়াচ্ছেন তাঁকে নিয়ে নোংরামি কার স্বার্থে? দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করতে ঝুঁকি নেয়ার ধাক্কা,এ আর নতুন কী?
কিছুদিন আগেও আড়ৎ এর অনৈতিক কর্মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অদৃশ্য শক্তি রোষানলে পড়েছিলেন ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নোয়াখালীর সন্তান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এসময় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে এই বেলাল চৌধুরী ফেসবুকে শান্তনা ও সাহস যুগিয়ে যে দু’চার লাইন লিখেছেন তা আমার চোখ এড়ায়নি!
সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রিয় সফরে বিদেশে অবস্থানকালে মঞ্জুর শাহরিয়ারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে মঞ্জুর শাহরিয়ার বদলির আদেশ বাতিল হয়ে যায়।

এই সংবাদ প্রসঙ্গে বেলাল চৌধুরী এই প্রতিবেদকে বলেন, সংবাদটি ৮ তারিখের পূর্বে প্রকাশিত হয়নি কেন? ভায়াগ্রা চালান আটকের পর তারা জানলেন আমার অটল সম্পদ। পত্রিকা বা সংবাদপত্র নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।

প্রকাশিত সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের একভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ে এনবিআরের আওতাধীন কমিশনারদের পদোন্নতি এবং প্রমোশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। আমি দুর্নীতি করি না। কোন প্রকার অপপ্রচার হুমকি ধামকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।

প্রকাশিত সংবাদে দুদকের তদন্ত প্রসঙ্গে বেলাল চৌধুরী উল্লেখ করেন আমার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ নতুন নয়। আমি গডফাদারদের ইচ্ছায় না চলার কারণে তারা বারবার আমাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে। সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ, দুদকে অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। এ মহলের অভিযোগ দীর্ঘ তদন্ত সাপেক্ষে দুদক তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে ২০০৯ সালে আমাকে সম্পদ বিবরণী জারি করে সকল সম্পদ যাচাই করে বেনামী অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।

তখনও প্রমাণিত হয়েছে আমার আয় বর্হিভূত কোন সম্পদ নাই। বেলাল চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, যতদিন বাঁচবো দেশ মাটি ও মানুষের পক্ষে কাজ করে যাবো। দেশবিরোধী কোন চক্রের ক্রীড়নকে পরিণত হবো না ইনশাল্লাহ।

প্রকাশিত সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের একভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ে এনবিআরের আওতাধীন কমিশনারদের পদোন্নতি এবং প্রমোশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। আমি দুর্নীতি করি না। কোন প্রকার অপপ্রচার হুমকি ধামকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হচ্ছে বেলাল চৌধুরী একজন দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা তার সততা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাকে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশে বেলাল চৌধুরীর মত কিছু সংখ্যক সৎ সরকারি কর্মকর্তা আছে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিরাশ হয়ে একদিন হারিয়ে যাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা, বাংলাদেশে সৎ মানুষ বা সৎ সরকারি কর্মকর্তার খুবই অভাব, আপনি দেশকে নিয়ে যেভাবে ভাবেন, তাই দেশের কিছু সংখ্যক সৎ কর্মকর্তাকে ওনার ছায়া দিয়ে আগলে রাখেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, জানিনা যখন তিনি থাকবেন না তখন এই দেশের কি হবে !

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বেনাপোলে আটক এশিয়ার সর্ববৃহৎ চালান ভায়াগ্রার উওেজনায় ফুসেছে গডফাদাররা —কমিশনার বেলাল চৌধুরীকে হুমকী

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯

তানজীর মহসিন ।।

বেনাপোলে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রার চালান আটক করে চোরাকারবারীদের  রোষানলে পড়েছেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। পেশাগত জীবনে লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে যিনি বারবার দেশ ও জাতির পক্ষে কাজ করে গেছেন তাকে পড়তে হয় দেশবিরোধী শক্তির রোষানলে।

নোয়াখালীর দেশপ্রেমিক সন্তান বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরী এশিয়ার বৃহত্তম আড়াই মেট্রিকটন (সাড়ে ১২ হাজার কেজি) ভায়াগ্রা চালান আটক করায় ভায়াগ্রা গডফাদাররা তার বিরুদ্ধে  নানা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। ভায়াগ্রার চালান আটকের পর ৪৩ টি শুল্ক পয়েন্টে রেড এলার্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। তযাতে অণ্য কোন শুল্ক স্টেশন দিয়ে এ ধরনের মিথ্যা  ঘোষনায়  ভায়াগ্রা আমদানি করতে না পারে।

বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন বলছেন, ভায়াগ্রা গডফাদাররা তাদের ইচ্ছামতো তথ্য দিয়ে দেশের কিছু পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। গডফাদারদের সরবরাহকৃত ভুল তথ্য কিছু পত্রপত্রিকা গডফাদারদের এতই নিয়ন্ত্রণে যে প্রকাশিত সংবাদে বেলাল চৌধুরীর জন্মস্থান পাল্টে দিচয়েছে। অলৌকিক সন্তানও সৃষ্টি করছে। প্রকাশিত সংবাদে বেলাল চৌধুরীকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে বেলাল চৌধুরীর বাড়ি বেগমগঞ্জে শরীফপুরে। প্রকাশিত সংবাদপত্রে অলৌকিকভাবে বেলাল চৌধুরীর মেয়ে আবিস্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরীর ছেলে-মেয়ে কানাডায় পড়াশুনা করছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেলাল চৌধুরীর কোন মেয়ে নেই তার দুই ছেলে ঢাকার স্কুলে পড়ছেন। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরীর শ্যালকের নামে সম্পদ রয়েছে কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার কোন শ্যালক নাই।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল চৌধুরী একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক। কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে যে, বেলাল চৌধুরী যে ফ্ল্যাটে থাকেন তা তার স্ত্রীর নামে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ক্রয় করা। এই লোনটি এখনো বিদ্যমান। আরো জানা গেছে, বেলাল চৌধুরীর কোন ভাই-ই গার্মেন্টস ব্যবসা কিংবা চাকরিতে জড়িত নয়। ৮ আগস্ট দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানী ১২ কোটি টাকা মূল্যের ভায়াগ্রা চালান আটক এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ আটকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সেরা কামস্টস কর্মকর্তা বেলাল চৌধুরী। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর সরকার প্রশাসনের তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় আন্তঃদেশীয় তদবীর। কোটি কোটি টাকার লোভ লালসা কোন কিছুর কাছেই হার মানেননি বেলাল চৌধুরী। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিরমুখে না ফেলে দেশ ও মাতৃকার টানে বেলাল চৌধুরী ভায়াগ্রা গডফাদারদের ছাড় দেননি। এ বিশাল পরিমাণ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর ভায়াগ্রার গডফাদাররা বেলাল চৌধুরীকে হুমকী দিচ্ছে নানাভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি ইতোমধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দরকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে এক নতুন ইতিহাস। আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কমিশনার নিঃসন্দেহে তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি।”

পেশাগত জীবনে লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে স্বমহিমায় যিনি আলো ছড়াচ্ছেন তাঁকে নিয়ে নোংরামি কার স্বার্থে? দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করতে ঝুঁকি নেয়ার ধাক্কা,এ আর নতুন কী?
কিছুদিন আগেও আড়ৎ এর অনৈতিক কর্মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অদৃশ্য শক্তি রোষানলে পড়েছিলেন ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নোয়াখালীর সন্তান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এসময় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে এই বেলাল চৌধুরী ফেসবুকে শান্তনা ও সাহস যুগিয়ে যে দু’চার লাইন লিখেছেন তা আমার চোখ এড়ায়নি!
সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রিয় সফরে বিদেশে অবস্থানকালে মঞ্জুর শাহরিয়ারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে মঞ্জুর শাহরিয়ার বদলির আদেশ বাতিল হয়ে যায়।

এই সংবাদ প্রসঙ্গে বেলাল চৌধুরী এই প্রতিবেদকে বলেন, সংবাদটি ৮ তারিখের পূর্বে প্রকাশিত হয়নি কেন? ভায়াগ্রা চালান আটকের পর তারা জানলেন আমার অটল সম্পদ। পত্রিকা বা সংবাদপত্র নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।

প্রকাশিত সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের একভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ে এনবিআরের আওতাধীন কমিশনারদের পদোন্নতি এবং প্রমোশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। আমি দুর্নীতি করি না। কোন প্রকার অপপ্রচার হুমকি ধামকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।

প্রকাশিত সংবাদে দুদকের তদন্ত প্রসঙ্গে বেলাল চৌধুরী উল্লেখ করেন আমার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ নতুন নয়। আমি গডফাদারদের ইচ্ছায় না চলার কারণে তারা বারবার আমাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে। সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ, দুদকে অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। এ মহলের অভিযোগ দীর্ঘ তদন্ত সাপেক্ষে দুদক তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে ২০০৯ সালে আমাকে সম্পদ বিবরণী জারি করে সকল সম্পদ যাচাই করে বেনামী অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।

তখনও প্রমাণিত হয়েছে আমার আয় বর্হিভূত কোন সম্পদ নাই। বেলাল চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, যতদিন বাঁচবো দেশ মাটি ও মানুষের পক্ষে কাজ করে যাবো। দেশবিরোধী কোন চক্রের ক্রীড়নকে পরিণত হবো না ইনশাল্লাহ।

প্রকাশিত সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের একভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ে এনবিআরের আওতাধীন কমিশনারদের পদোন্নতি এবং প্রমোশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে আমি মনে করি। আমি দুর্নীতি করি না। কোন প্রকার অপপ্রচার হুমকি ধামকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হচ্ছে বেলাল চৌধুরী একজন দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা তার সততা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাকে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশে বেলাল চৌধুরীর মত কিছু সংখ্যক সৎ সরকারি কর্মকর্তা আছে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিরাশ হয়ে একদিন হারিয়ে যাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা, বাংলাদেশে সৎ মানুষ বা সৎ সরকারি কর্মকর্তার খুবই অভাব, আপনি দেশকে নিয়ে যেভাবে ভাবেন, তাই দেশের কিছু সংখ্যক সৎ কর্মকর্তাকে ওনার ছায়া দিয়ে আগলে রাখেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, জানিনা যখন তিনি থাকবেন না তখন এই দেশের কি হবে !