শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোবাইল ব্যাংকিং ও কুরিয়ার সার্ভিসে লেনদেন: নজরদারি করবে দুদক

প্রফেসর জিন্নাত আলী।।

দেশে ডিজিটাল ও অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এবং কুরিয়ার সার্ভিসের সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে নজরদারি করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুদক সেবাদানকারী নন-ব্যাংকিং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে কোনো ঘটনা অনুসন্ধান করতে পারবে।

দুদক থেকে চলতি সপ্তাহেই দেশের সবকটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিকে চিঠি দেয়া হবে। এতে তাদের গ্রাহকদের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হবে।বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, নগদ, এসএ পরিবহন, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে এই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। গত ২২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এক যৌথ সভায় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিসের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে দুদক ও বিএফআইইউ অনুসন্ধান করতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এ বিষয়ে তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি, এখন কথা বলব না। পরে অফিসে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।সূত্র জানায়, ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর, বিটিআরসি ও বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, দুদক সচিবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমডি এবং সিইও’কে দেয়া হয়েছে। কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং একটি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হবে সে বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের কাছে প্রয়েজনীয় সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আরও বলা হয়, কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক লেনদেন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক অনুমোদিত মাদক ও অস্ত্র শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে তাদের গ্রাহকদের এনআইডির তথ্য ‘ক্রসচেক’ করতে পারে সে বিষয়ে বিটিআরসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ‘নগদ’-এর কার্যক্রম পরিচালনায় যাতে মানি লন্ডারিং বা অবৈধ লেনদেন না হয় সে বিষয়ে ডাক বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা যোগাযোগ রাখবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মোবাইল ব্যাংকিং ও কুরিয়ার সার্ভিসে লেনদেন: নজরদারি করবে দুদক

প্রকাশের সময় : ০৮:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
প্রফেসর জিন্নাত আলী।।

দেশে ডিজিটাল ও অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এবং কুরিয়ার সার্ভিসের সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে নজরদারি করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুদক সেবাদানকারী নন-ব্যাংকিং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে কোনো ঘটনা অনুসন্ধান করতে পারবে।

দুদক থেকে চলতি সপ্তাহেই দেশের সবকটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিকে চিঠি দেয়া হবে। এতে তাদের গ্রাহকদের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হবে।বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, নগদ, এসএ পরিবহন, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিস, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে এই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। গত ২২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এক যৌথ সভায় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিসের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে দুদক ও বিএফআইইউ অনুসন্ধান করতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।

ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এ বিষয়ে তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি, এখন কথা বলব না। পরে অফিসে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।সূত্র জানায়, ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর, বিটিআরসি ও বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, দুদক সচিবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমডি এবং সিইও’কে দেয়া হয়েছে। কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং একটি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হবে সে বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের কাছে প্রয়েজনীয় সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে আরও বলা হয়, কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক লেনদেন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক অনুমোদিত মাদক ও অস্ত্র শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে তাদের গ্রাহকদের এনআইডির তথ্য ‘ক্রসচেক’ করতে পারে সে বিষয়ে বিটিআরসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ‘নগদ’-এর কার্যক্রম পরিচালনায় যাতে মানি লন্ডারিং বা অবৈধ লেনদেন না হয় সে বিষয়ে ডাক বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা যোগাযোগ রাখবে।