মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোলকাতায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুই কর্মকর্তার লাশ দেশে এসেছে

সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ ।। 

পশ্চিমবংগের রাজধানী কোলকাতা শহরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত গ্রামীন ফোন কোম্পানীর কর্মকর্তা মইনুল আলম  ও তার চাচাতো বোন ব্যাংক কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম তানিয়ার লাশ আজ রোববার সকালে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।

কোলকাতায় তাদের সাথে থাকা আহত ফুপাতো ভাই কাজী শফিউর রহমান চৌধুরী জানান, ১৪ আগস্ট ডাক্তার দেখাতে তারা ভারতে যায় । “কলকাতা শহরের  বাইপাসের সড়কের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখিয়ে ১৬ আগষ্ট রাতের খাওয়া শেষে তারা সেক্সপিয়ার স্বরনীর চৌরাস্তার  মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন।

দুর্ঘটনার বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীয় সময় শুক্রবার রাত ২টার দিকে একটি জাগুয়ার জীপ তীব্র গতিতে শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কালিমন্দিরের দিকে যাচছল। লাউডন স্ট্রিটের কাছে সেটি একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের একটি পোস্টে কাছে দাড়িয়ে থাকা

মইনুল আলম  ও  ফারহানা ইসলাম তানিয়াকে চাপা  দিলে ঘটনাস্থলেই  তারা মারা যায়। ঘটনার সময় একটু দুরে থাকায় প্রানে বেচে যান জিহাদ। ভারতের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ রোববার সকালে লাশ দুটি বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌছায়।

নিহত ফারজানা ইসলাম তানিয়া কুষ্টিয়ার খুকসা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বাবা মায়ের দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছিলেন। তার মৃতদেহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমণ্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন।

অপরদিকে মাঈনুল আলম ঝিনাইদহের বুটিয়াঘাটি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি গ্রামীণ ফোনের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মৃতেদহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই জিহাদ আলী। শফি উল্লাহ  জানান, কপালের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছে বিচার দাবি করেন।

দুর্ঘটনার জন্য কলকাতার নামি রেস্তোরাঁ আরসালান-এর মালিকের ছেলে পারভেজ আরসালানকে গতরাতে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় তিনিই চালকের আসনে ছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী আরসালান পারভেজ লন্ডনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার বির“দ্ধে ‘মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট’র একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া, বাংলাদেশ হাইকমিশনের প থেকেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

কোলকাতায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুই কর্মকর্তার লাশ দেশে এসেছে

প্রকাশের সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ ।। 

পশ্চিমবংগের রাজধানী কোলকাতা শহরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত গ্রামীন ফোন কোম্পানীর কর্মকর্তা মইনুল আলম  ও তার চাচাতো বোন ব্যাংক কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম তানিয়ার লাশ আজ রোববার সকালে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।

কোলকাতায় তাদের সাথে থাকা আহত ফুপাতো ভাই কাজী শফিউর রহমান চৌধুরী জানান, ১৪ আগস্ট ডাক্তার দেখাতে তারা ভারতে যায় । “কলকাতা শহরের  বাইপাসের সড়কের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখিয়ে ১৬ আগষ্ট রাতের খাওয়া শেষে তারা সেক্সপিয়ার স্বরনীর চৌরাস্তার  মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন।

দুর্ঘটনার বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীয় সময় শুক্রবার রাত ২টার দিকে একটি জাগুয়ার জীপ তীব্র গতিতে শেক্সপিয়র সরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কালিমন্দিরের দিকে যাচছল। লাউডন স্ট্রিটের কাছে সেটি একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের একটি পোস্টে কাছে দাড়িয়ে থাকা

মইনুল আলম  ও  ফারহানা ইসলাম তানিয়াকে চাপা  দিলে ঘটনাস্থলেই  তারা মারা যায়। ঘটনার সময় একটু দুরে থাকায় প্রানে বেচে যান জিহাদ। ভারতের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ রোববার সকালে লাশ দুটি বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌছায়।

নিহত ফারজানা ইসলাম তানিয়া কুষ্টিয়ার খুকসা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বাবা মায়ের দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছিলেন। তার মৃতদেহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমণ্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন।

অপরদিকে মাঈনুল আলম ঝিনাইদহের বুটিয়াঘাটি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি গ্রামীণ ফোনের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মৃতেদহ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই জিহাদ আলী। শফি উল্লাহ  জানান, কপালের জোরে তিনি বেঁচে গেছেন। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছে বিচার দাবি করেন।

দুর্ঘটনার জন্য কলকাতার নামি রেস্তোরাঁ আরসালান-এর মালিকের ছেলে পারভেজ আরসালানকে গতরাতে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় তিনিই চালকের আসনে ছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী আরসালান পারভেজ লন্ডনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার বির“দ্ধে ‘মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট’র একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া, বাংলাদেশ হাইকমিশনের প থেকেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।