বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে ইভটিজিং করতে গিয়ে ধরা খেলেন এক মাদ্রাসার শিক্ষক।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি –ঃ

কুলাউড়ার ব্যস্ততম মার্কেট মিলিপ্লাজায় একজন মহিলাকে ইভটিজিং করতে গিয়ে ধরা খেলেন আবুল হাশেম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। কোন কারন ছাড়াই শরীরে হাত দিলে ওই মহিলার চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে হাশেমকে আটক করেন। পরে নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে কোন রকমে পালিয়ে আসতে চাইলে শহরের পৌরসভার সম্মুখে আবার তাকে আটক করে জনতা।
১৭ আগস্ট (শনিবার) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের এসআই আবুল বাশার এসে তাকে আটক করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান। পুলিশের দাবি, এরআগেও সে মিলি প্লাজায় চুরির ঘটনায় আটক হয়েছিলো। পরে তার স্ত্রী-সন্তান ও জুড়ি উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আবুল হাশেম জুড়ি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। সেখানকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই শিক্ষক ওই মাদ্রাসায় বিভিন্ন ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিং করেন তবে লোকলজ্জার ভয়ে কোন শিক্ষার্থী মুখ খুলতে রাজি হয় না। হাশেম কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা ওই মহিলার শরীরে আচমকা হাত দেয় আবুল হাশেম নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। এসময় মহিলাটি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে হাশেমকে আটক করেন। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দেয়ার সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। জনতার ধাওয়া খেয়ে তিনি পৌরসভার সম্মুখে আসলে তাকে আবার আটক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের উপস্থিতিতে সে মহিলার শরীরে হাত দেয়ার কথা স্বীকার করে। ওই সময় হাশেম বলেন, ‘আমি ভুল করে মহিলার ওখানে (গলার নিচে ইঙ্গিত করে) হাত দিয়েছি। আর জীবনেও এরকম ভুল করবো না। আমাকে ছেড়ে দিন। ’ ওই সময় নিজে থেকেই তিনি কয়েকবার কানে ধরে উঠবস করে জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার জিয়াউল হক বলেন, তিনি আমার মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন কি না, তা আমি জানিনা। মাদ্রাসা বন্ধ, তিনি ছুটিতে আছেন। কোথায় কি করছেন তা আমার জানার কথা না।’

তিনি আবার বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় গত ৩ জুলাই থেকে আবুল হাশেমকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কি অপরাধে বরখাস্ত সে ব্যাপারে সুপার জ্য়িাউল কিছু বলতে রাজি হননি।

কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মৌলভীবাজারে ইভটিজিং করতে গিয়ে ধরা খেলেন এক মাদ্রাসার শিক্ষক।

প্রকাশের সময় : ০৪:০১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি –ঃ

কুলাউড়ার ব্যস্ততম মার্কেট মিলিপ্লাজায় একজন মহিলাকে ইভটিজিং করতে গিয়ে ধরা খেলেন আবুল হাশেম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। কোন কারন ছাড়াই শরীরে হাত দিলে ওই মহিলার চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে হাশেমকে আটক করেন। পরে নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে কোন রকমে পালিয়ে আসতে চাইলে শহরের পৌরসভার সম্মুখে আবার তাকে আটক করে জনতা।
১৭ আগস্ট (শনিবার) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের এসআই আবুল বাশার এসে তাকে আটক করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান। পুলিশের দাবি, এরআগেও সে মিলি প্লাজায় চুরির ঘটনায় আটক হয়েছিলো। পরে তার স্ত্রী-সন্তান ও জুড়ি উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আবুল হাশেম জুড়ি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। সেখানকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই শিক্ষক ওই মাদ্রাসায় বিভিন্ন ছাত্রীদের সাথে ইভটিজিং করেন তবে লোকলজ্জার ভয়ে কোন শিক্ষার্থী মুখ খুলতে রাজি হয় না। হাশেম কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা ওই মহিলার শরীরে আচমকা হাত দেয় আবুল হাশেম নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। এসময় মহিলাটি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুঁটে এসে হাশেমকে আটক করেন। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দেয়ার সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। জনতার ধাওয়া খেয়ে তিনি পৌরসভার সম্মুখে আসলে তাকে আবার আটক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের উপস্থিতিতে সে মহিলার শরীরে হাত দেয়ার কথা স্বীকার করে। ওই সময় হাশেম বলেন, ‘আমি ভুল করে মহিলার ওখানে (গলার নিচে ইঙ্গিত করে) হাত দিয়েছি। আর জীবনেও এরকম ভুল করবো না। আমাকে ছেড়ে দিন। ’ ওই সময় নিজে থেকেই তিনি কয়েকবার কানে ধরে উঠবস করে জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার জিয়াউল হক বলেন, তিনি আমার মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন কি না, তা আমি জানিনা। মাদ্রাসা বন্ধ, তিনি ছুটিতে আছেন। কোথায় কি করছেন তা আমার জানার কথা না।’

তিনি আবার বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় গত ৩ জুলাই থেকে আবুল হাশেমকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কি অপরাধে বরখাস্ত সে ব্যাপারে সুপার জ্য়িাউল কিছু বলতে রাজি হননি।

কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।