শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজার পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় দুটি গ্রাম পুরুষ শূন।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃঃ+

মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসের বাজারে দুই গ্রামবাসীর সংর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক সহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন আহত পুলিশ অফিসার এস আই সুব্রত কুমার দাস। মামলার তদন্ত করছে এস আই শরিফ উদ্দিন। পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার কারণে গ্রেফতার আতংকে গত ৩দিন ধরে দুই গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পরেছে।
জানাযায়, শালিস বৈঠকের উত্তেজনার জের ধরে গত শনিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে দাসেরবাজারের লঘাটি ও সুড়িকান্দি গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘষের ঘঠনা ঘটে। এতে পুলিশসহ উভয় গ্রামের ৪০ জন আহত হন। ভাংচুর করা হয় শতাধিক দোকানপাট
পুলিশের একজন এস আই ও কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় এস আই সুব্রত কুমার দাস দৈনিক সেনালী খবরের বড়লেখা উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তফা উদ্দিনকে প্রাধান আসামি করে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দয়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি সাংবাদিক মোস্তফা উদ্দিন জানান, দাসেরবাজারের সবজি সেডে শালিস বৈঠকে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধাওয়া করে।দৌড়ে গিয়ে একটি দোকানে ঢুকে ভিতর থেকে সাটার বন্ধ করায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের কাছে ফোন দিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে উদ্ধারও করে । বাজারের পরিস্হিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি অবরুদ্ধ অবস্হাা থেকে বের হলেন। অথচ তাকে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার প্রধান আসামি করা হয়।
এ দিকে দুটি গ্রামের ২৫০ -৩০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হওয়ায় ঈদের আগের দিন থাকে গ্রামগুলো পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে মামালার তদন্ত, কর্মকর্তা এস আই শরিফ উদ্দিন বলেন, এ মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হননি। তবে সংশ্লিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মৌলভীবাজার পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় দুটি গ্রাম পুরুষ শূন।

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃঃ+

মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসের বাজারে দুই গ্রামবাসীর সংর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক সহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন আহত পুলিশ অফিসার এস আই সুব্রত কুমার দাস। মামলার তদন্ত করছে এস আই শরিফ উদ্দিন। পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার কারণে গ্রেফতার আতংকে গত ৩দিন ধরে দুই গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পরেছে।
জানাযায়, শালিস বৈঠকের উত্তেজনার জের ধরে গত শনিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে দাসেরবাজারের লঘাটি ও সুড়িকান্দি গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘষের ঘঠনা ঘটে। এতে পুলিশসহ উভয় গ্রামের ৪০ জন আহত হন। ভাংচুর করা হয় শতাধিক দোকানপাট
পুলিশের একজন এস আই ও কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় এস আই সুব্রত কুমার দাস দৈনিক সেনালী খবরের বড়লেখা উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তফা উদ্দিনকে প্রাধান আসামি করে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দয়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি সাংবাদিক মোস্তফা উদ্দিন জানান, দাসেরবাজারের সবজি সেডে শালিস বৈঠকে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধাওয়া করে।দৌড়ে গিয়ে একটি দোকানে ঢুকে ভিতর থেকে সাটার বন্ধ করায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের কাছে ফোন দিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে উদ্ধারও করে । বাজারের পরিস্হিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি অবরুদ্ধ অবস্হাা থেকে বের হলেন। অথচ তাকে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার প্রধান আসামি করা হয়।
এ দিকে দুটি গ্রামের ২৫০ -৩০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হওয়ায় ঈদের আগের দিন থাকে গ্রামগুলো পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে মামালার তদন্ত, কর্মকর্তা এস আই শরিফ উদ্দিন বলেন, এ মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হননি। তবে সংশ্লিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।