সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবার পাকিস্তানের কাশ্মীরে হাত দিতে চায় ভারত!

নুরুজ্জামান লিটন ।। 

নিজেদের দেশের কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে ‘আর কোনো কথা নয়’, বরং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে চায় ভারত। আলোচিত ইস্যুটি নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সোমবার এভাবে কথা বলেন।

বিতর্ক উসকে দিয়ে মোদির দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও টুইটে বলেন, ‘পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে সর্বসম্মতি জানিয়েছে সংসদ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি জীবদ্দশায় যেন তা দেখে যেতে পারি।’ রাজনাথ এদিন হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জন আশীর্বাদ যাত্রায় গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনাতে মোদি সরকারের অবস্থানের নতুন ইঙ্গিত দেন।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার পরে ভারত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার টেবিল থেকে কাশ্মীরকে সরিয়ে ফেলবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু দেশের মানুষের সামনে মোদি সরকার কাশ্মীর প্রশ্নে আরও কট্টর অবস্থান নিতে চাইছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকেরা।

কংগ্রেসের অভিযোগ, সবটাই রাজনীতি। দলের নেতা অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি বলেন, ‘প্রতিটি বৈঠকে, জনসভায় তারা ৩৭০ নিয়ে কথা বলছেন। তাই মনে হচ্ছে, সবটাই ভোটের দিকে তাকিয়ে করা। যা করেছেন, তা তো হয়ে গেছে। কিন্তু ক্রমাগত একে মহিমান্বিত করায় আসল উদ্দেশ্য খোলাসা হচ্ছে।’ ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিরোধীরা এই অভিযোগ তুলবেন বলেই পরিকল্পনামাফিক রাজনাথ সিংহকে দিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

সেনাবাহিনী দখলে নিলো কেএনএফের আস্তানা ও প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

এবার পাকিস্তানের কাশ্মীরে হাত দিতে চায় ভারত!

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯
নুরুজ্জামান লিটন ।। 

নিজেদের দেশের কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে ‘আর কোনো কথা নয়’, বরং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে চায় ভারত। আলোচিত ইস্যুটি নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সোমবার এভাবে কথা বলেন।

বিতর্ক উসকে দিয়ে মোদির দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও টুইটে বলেন, ‘পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে সর্বসম্মতি জানিয়েছে সংসদ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি জীবদ্দশায় যেন তা দেখে যেতে পারি।’ রাজনাথ এদিন হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জন আশীর্বাদ যাত্রায় গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনাতে মোদি সরকারের অবস্থানের নতুন ইঙ্গিত দেন।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার পরে ভারত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার টেবিল থেকে কাশ্মীরকে সরিয়ে ফেলবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু দেশের মানুষের সামনে মোদি সরকার কাশ্মীর প্রশ্নে আরও কট্টর অবস্থান নিতে চাইছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকেরা।

কংগ্রেসের অভিযোগ, সবটাই রাজনীতি। দলের নেতা অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি বলেন, ‘প্রতিটি বৈঠকে, জনসভায় তারা ৩৭০ নিয়ে কথা বলছেন। তাই মনে হচ্ছে, সবটাই ভোটের দিকে তাকিয়ে করা। যা করেছেন, তা তো হয়ে গেছে। কিন্তু ক্রমাগত একে মহিমান্বিত করায় আসল উদ্দেশ্য খোলাসা হচ্ছে।’ ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিরোধীরা এই অভিযোগ তুলবেন বলেই পরিকল্পনামাফিক রাজনাথ সিংহকে দিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করানো হচ্ছে।