শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমের জেলাগুলোতে পাটের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষি

আলেয়া খাতুন বৃস্টি ।। 

পশ্চিমের জেলাগুলোতে পাটের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষি । ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পাটের দাম ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

এরপর দাম কমতে থাকে। গত ৬ আগস্ট শৈলকুপা হাটে প্রতি মণ পাট ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত দরে কেনাবেচা হতে দেখা যায়। রবিবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ হাটে প্রতি মণ পাট ১৫০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয় বলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান। ঝিনাইদহের শৈলকুপা, মাগুরার সদর, শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলার পাটের মান ভালো। দামও বেশি থাকে। আবার কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের পাটের মান তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়। দামও কম হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের চাষি জিয়াউর রহমান জানান, তাদের এলাকায় নতুন পাট ওঠার পর প্রতি মণ ১৬০০ টাকা থেকে সাড়ে ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন প্রতি মণের দাম ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কমে গেছে। বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা মণ দরে। শৈলকুপা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের চাষি মফিজুল ইসলাম বলেন, যাদের পাট আগে উঠেছিল তারা ভালো দাম পেয়েছে। পাটের আমদানি বাড়ার পর দাম কমে গেছে। ১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দামে বিক্রি করে লাভ থাকছে না। শৈলকুপার পাট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, পাটের দাম মণ প্রতি ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ টাকার টান পড়েছে। তিনি বিজেএমসির অধীন খুলনার ক্রিসেন্ট জুটমিলের কাছে ৮৮ লাখ টাকা পাবেন। চার বছর হয়ে গেলেও মিল কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ করছে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলি জানান, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ডিডি অফিস থেকে তাকে জানানো হয়েছে কোথাও কোথাও ১৪০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। দামের ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

পশ্চিমের জেলাগুলোতে পাটের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষি

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৯
আলেয়া খাতুন বৃস্টি ।। 

পশ্চিমের জেলাগুলোতে পাটের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষি । ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পাটের দাম ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

এরপর দাম কমতে থাকে। গত ৬ আগস্ট শৈলকুপা হাটে প্রতি মণ পাট ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত দরে কেনাবেচা হতে দেখা যায়। রবিবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ হাটে প্রতি মণ পাট ১৫০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয় বলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান। ঝিনাইদহের শৈলকুপা, মাগুরার সদর, শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলার পাটের মান ভালো। দামও বেশি থাকে। আবার কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের পাটের মান তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়। দামও কম হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের চাষি জিয়াউর রহমান জানান, তাদের এলাকায় নতুন পাট ওঠার পর প্রতি মণ ১৬০০ টাকা থেকে সাড়ে ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন প্রতি মণের দাম ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কমে গেছে। বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা মণ দরে। শৈলকুপা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের চাষি মফিজুল ইসলাম বলেন, যাদের পাট আগে উঠেছিল তারা ভালো দাম পেয়েছে। পাটের আমদানি বাড়ার পর দাম কমে গেছে। ১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দামে বিক্রি করে লাভ থাকছে না। শৈলকুপার পাট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, পাটের দাম মণ প্রতি ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ টাকার টান পড়েছে। তিনি বিজেএমসির অধীন খুলনার ক্রিসেন্ট জুটমিলের কাছে ৮৮ লাখ টাকা পাবেন। চার বছর হয়ে গেলেও মিল কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ করছে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলি জানান, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ডিডি অফিস থেকে তাকে জানানো হয়েছে কোথাও কোথাও ১৪০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। দামের ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই।