শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র ৭২ ঘণ্টায় যেভাবে পাবেন ১০ বছর মেয়াদি পার্সপোর্ট!

 

অলেয়া খাতুন বৃস্টি ।। স্টাফ রিপোর্টার ।। 

এবার পার্সপোট তুলতে আর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে না। বহিরাগমন পার্সপোট আবেদনকারীদের জন্য সুখবর দিল অধিদফতর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্টের মেয়াদ, আবেদন ফরম ও ফি নির্ধারণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পেতে অতি জরুরি ফি জমা দিলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তা হাতে পাবেন গ্রাহক। এর মেয়াদ করা হয়েছে ১০ বছর। তবে এই ই পাসপোর্টে সত্যায়ন পদ্ধতি থাকছে না। কিন্তু আগের নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরই গ্রাহক তার পাসপোর্ট হাতে পাবে।

এ বিষয়ে দ্রুতই ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার হবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টে ভ্যাট ছাড়া সাধারণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য পাঁচ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের জন্য জরুরি ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য সাত হাজার টাকা। পাঁচ বছরের অতি জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য নয় হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

এদিকে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ভ্যাট ছাড়া সাধারণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য সাত হাজার টাকা। একই পৃষ্ঠার পাসপোর্টে জরুরি ফি পাঁচ বছরের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য নয় হাজার টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি অতি জরুরি পাসপোর্ট পেতে হলে গ্রাহককে ফি দিতে হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট পেতে হলে ফি লাগবে ১২ হাজার টাকা।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন শাখা-১ থেকে গত ১ আগস্ট জারি করা পরিপত্রে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট পেতে ‘সাধারণ আবেদনকারী’ এবং ‘শ্রমিক ও শিক্ষার্থী’ নামে দুই ক্যাটাগরিতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট পেলেও তারা অতি জরুরি আবেদন করতে পারবেন না।

জানা গেছে, সাধারণ আবেদনকারীকে পাঁচ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে ১০০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট পেতে দেড়শ’ ডলার ফি দিতে হবে। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে ১২৫ মার্কিন ডলার ও ১৭৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ১৫০ ডলার এবং জরুরি ফি ২০০ ডলার। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিককে সাধারণ ফি বাবদ ১৭৫ ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট বাবদ ২২৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা দিতে হবে। তবে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফি কমানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়ন করা লাগবে না। অত্যাধুনিক এই পাসপোর্টের ফরমে প্রার্থীর কোনো ছবি সংযোজনও করতে হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী অর্থাৎ যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার বাবা এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সংযুক্ত করতে হবে। ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দেওয়া গেলেও ১৮ বছরের হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। কিন্তু ১৮ বছরের ওপরের আবেদনকারীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।

উল্লেখ্য, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ফরমের ব্যক্তিগত তথ্য অংশে শুধু বাবা, মা, অভিভাবক, নির্ভরশীলের নাম, পেশা ও জাতীয়তার তথ্য চাওয়া হতো। তবে ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারণ করা আবেদন ফরমে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও চাওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মাত্র ৭২ ঘণ্টায় যেভাবে পাবেন ১০ বছর মেয়াদি পার্সপোর্ট!

প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

 

অলেয়া খাতুন বৃস্টি ।। স্টাফ রিপোর্টার ।। 

এবার পার্সপোট তুলতে আর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে না। বহিরাগমন পার্সপোট আবেদনকারীদের জন্য সুখবর দিল অধিদফতর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্টের মেয়াদ, আবেদন ফরম ও ফি নির্ধারণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পেতে অতি জরুরি ফি জমা দিলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই তা হাতে পাবেন গ্রাহক। এর মেয়াদ করা হয়েছে ১০ বছর। তবে এই ই পাসপোর্টে সত্যায়ন পদ্ধতি থাকছে না। কিন্তু আগের নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরই গ্রাহক তার পাসপোর্ট হাতে পাবে।

এ বিষয়ে দ্রুতই ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার হবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টে ভ্যাট ছাড়া সাধারণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য পাঁচ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের জন্য জরুরি ফি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য সাত হাজার টাকা। পাঁচ বছরের অতি জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য নয় হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

এদিকে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ভ্যাট ছাড়া সাধারণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য সাত হাজার টাকা। একই পৃষ্ঠার পাসপোর্টে জরুরি ফি পাঁচ বছরের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ১০ বছরের জন্য নয় হাজার টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি অতি জরুরি পাসপোর্ট পেতে হলে গ্রাহককে ফি দিতে হবে সাড়ে ১০ হাজার টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট পেতে হলে ফি লাগবে ১২ হাজার টাকা।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন শাখা-১ থেকে গত ১ আগস্ট জারি করা পরিপত্রে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট পেতে ‘সাধারণ আবেদনকারী’ এবং ‘শ্রমিক ও শিক্ষার্থী’ নামে দুই ক্যাটাগরিতে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট পেলেও তারা অতি জরুরি আবেদন করতে পারবেন না।

জানা গেছে, সাধারণ আবেদনকারীকে পাঁচ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে ১০০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট পেতে দেড়শ’ ডলার ফি দিতে হবে। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে ১২৫ মার্কিন ডলার ও ১৭৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ১৫০ ডলার এবং জরুরি ফি ২০০ ডলার। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিককে সাধারণ ফি বাবদ ১৭৫ ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট বাবদ ২২৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা দিতে হবে। তবে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফি কমানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়ন করা লাগবে না। অত্যাধুনিক এই পাসপোর্টের ফরমে প্রার্থীর কোনো ছবি সংযোজনও করতে হবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী অর্থাৎ যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার বাবা এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সংযুক্ত করতে হবে। ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দেওয়া গেলেও ১৮ বছরের হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে। কিন্তু ১৮ বছরের ওপরের আবেদনকারীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।

উল্লেখ্য, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ফরমের ব্যক্তিগত তথ্য অংশে শুধু বাবা, মা, অভিভাবক, নির্ভরশীলের নাম, পেশা ও জাতীয়তার তথ্য চাওয়া হতো। তবে ই-পাসপোর্টের জন্য নির্ধারণ করা আবেদন ফরমে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও চাওয়া হয়েছে।