শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরিত্র গঠনে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ

কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম
বর্তমানে পরিবার ও সমাজের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে চরিত্রহীনতার দিকটি বিশেষভাবে ফুটে উঠে।মা-বাবা,ভাই-বোন, পাড়া-প্রতিবেশী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ চরিত্রের প্রয়োজনে ধর্মীয় দিকটির গুরুত্বকে একেবারে গুরুত্বহীন মনে করেন।
যে কারণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক প্রসার লাভ করছে।ফলে ঘটছে নানা অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।যার স্পর্শ থেকে বাদ যাচ্ছেনা কেউই।দিন দিন সমাজ বিষিয়ে উঠছে।বাস করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।
অনৈতিকতাকে স্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে।চরিত্র গঠনের কোন বালাই নেই।অথচ ধর্মীয় অনুশাসনের আলোকে চরিত্র গঠন করলে সমাজ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ থাকার কথা।চরিত্র গঠণের জন্য আমাদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।বিশ্বনবী (সা:) ছিলেন জগতের সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।তিনি সারাজীবন চরিত্রবান মানুষ ও সমাজ গঠনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।তাঁর সেই আদর্শ আমাদের জন্য পাথেয়।
পরিবার ও সমাজে চরিত্র গঠনের জন্য বাবা-মা, কর্তাব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।কেবল মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য লোক দেখানো প্রচারণা করলে হবেনা, বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে হবে।এজন্য চরিত্র গঠনে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।তরুণ ও যুব সমাজকে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
যা অসুন্দর, দৃষ্টিকটু বা রুচিহীন সেসবকে ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা।বরং সেগুলোকে বর্জন করতে উৎসাহী করে তোলে।মানুষকে পরিপূর্ণরূপে চরিত্রবান করে তুলতে ধর্মীয় অনুশাসনের কোন বিকল্প নেই।
নামাজ,রোজা,হজ্,যাকাতের পাশাপাশি জীবনের জন্য যা ভালো এবং উপযুক্ত তা ইসলামে রয়েছে।কারণ ইসলাম শুধু একটি ধর্মের নাম নয়,এটি একটি পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা।ইসলামকে অনুসরণের মাধ্যমে অনেক লোক চরিত্রহীনতাকে দূরে ঠেলে সুন্দর জীবন গঠনে এগিয়ে এসেছে।পেয়েছে শান্তি ও সুন্দরের পরশ।
বহু মা-বাবা, অভিভাবক আছেন সন্তানের জন্য অনেক কিছু করেন কিন্তু তাদের (সন্তানের) চরিত্র গঠণের দিকটিকে একেবারে উপেক্ষা করে যান।গুরুত্ব দেননা মোটেও।বেক ডেটেড বলে ধর্মকে কাছে ঘেঁষতে দেননা !ফলে এর প্রভাব পড়ে সন্তানদের ভবিষ্যত জীবনের প্রতিটি বাঁকে।চরিত্রবিধ্বংসী সব কাজকে তারা আগলে নেয়।জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক সব কর্মকাণ্ডে।চরিত্র গঠনের জন্য তাই আমাদেরকে কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি ধর্মীয় পুস্তকাদি অধ্যয়ন করতে হবে।ব্যবহারিক জীবনে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বর্তমান সময়টি ফেসবুক,ইন্টারনেটের।এ যুগে নিজেদের চরিত্র ঠিক রাখা কষ্টসাধ্য ব্যপারই বটে।তবে ধর্মীয় বিধিবিধানকে মেনে চলতে পারলে চরিত্রকে সুন্দর করে তোলা কঠিন হবেনা।অনেক লোক আছেন যারা ধর্মের কথা বললেই অস্বস্তিতে ভোগেন,নাক ছিঁটকান।অথচ এই ইসলামই পারে মানুষের চরিত্রকে আলাদভাবে প্রকাশ করতে,যোগ্য করে গড়ে তুলতে।
নিজের পরিবার ও সমাজে ধর্মীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে চরিত্র গঠন আরো সহজ হবে।কারণ ধর্মীয় পরিবেশের অভাবে অনেকে বিপথগামী হয়,দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে।তাই আমি মনে করি ইসলামকে অনুসরণের মাধ্যমে আমরা উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে পারি।হাদিসে,চরিত্রবান লোকদের সবচেয়ে উত্তম বলে সার্টিফাই করা হয়েছে।আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসণের মাধ্যমে ভালো ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী করেন।
★লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

চরিত্র গঠনে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম
বর্তমানে পরিবার ও সমাজের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে চরিত্রহীনতার দিকটি বিশেষভাবে ফুটে উঠে।মা-বাবা,ভাই-বোন, পাড়া-প্রতিবেশী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ চরিত্রের প্রয়োজনে ধর্মীয় দিকটির গুরুত্বকে একেবারে গুরুত্বহীন মনে করেন।
যে কারণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক প্রসার লাভ করছে।ফলে ঘটছে নানা অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।যার স্পর্শ থেকে বাদ যাচ্ছেনা কেউই।দিন দিন সমাজ বিষিয়ে উঠছে।বাস করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।
অনৈতিকতাকে স্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে।চরিত্র গঠনের কোন বালাই নেই।অথচ ধর্মীয় অনুশাসনের আলোকে চরিত্র গঠন করলে সমাজ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ থাকার কথা।চরিত্র গঠণের জন্য আমাদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।বিশ্বনবী (সা:) ছিলেন জগতের সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।তিনি সারাজীবন চরিত্রবান মানুষ ও সমাজ গঠনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।তাঁর সেই আদর্শ আমাদের জন্য পাথেয়।
পরিবার ও সমাজে চরিত্র গঠনের জন্য বাবা-মা, কর্তাব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।কেবল মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য লোক দেখানো প্রচারণা করলে হবেনা, বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে হবে।এজন্য চরিত্র গঠনে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।তরুণ ও যুব সমাজকে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
যা অসুন্দর, দৃষ্টিকটু বা রুচিহীন সেসবকে ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা।বরং সেগুলোকে বর্জন করতে উৎসাহী করে তোলে।মানুষকে পরিপূর্ণরূপে চরিত্রবান করে তুলতে ধর্মীয় অনুশাসনের কোন বিকল্প নেই।
নামাজ,রোজা,হজ্,যাকাতের পাশাপাশি জীবনের জন্য যা ভালো এবং উপযুক্ত তা ইসলামে রয়েছে।কারণ ইসলাম শুধু একটি ধর্মের নাম নয়,এটি একটি পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা।ইসলামকে অনুসরণের মাধ্যমে অনেক লোক চরিত্রহীনতাকে দূরে ঠেলে সুন্দর জীবন গঠনে এগিয়ে এসেছে।পেয়েছে শান্তি ও সুন্দরের পরশ।
বহু মা-বাবা, অভিভাবক আছেন সন্তানের জন্য অনেক কিছু করেন কিন্তু তাদের (সন্তানের) চরিত্র গঠণের দিকটিকে একেবারে উপেক্ষা করে যান।গুরুত্ব দেননা মোটেও।বেক ডেটেড বলে ধর্মকে কাছে ঘেঁষতে দেননা !ফলে এর প্রভাব পড়ে সন্তানদের ভবিষ্যত জীবনের প্রতিটি বাঁকে।চরিত্রবিধ্বংসী সব কাজকে তারা আগলে নেয়।জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক সব কর্মকাণ্ডে।চরিত্র গঠনের জন্য তাই আমাদেরকে কোরআন-হাদিসের পাশাপাশি ধর্মীয় পুস্তকাদি অধ্যয়ন করতে হবে।ব্যবহারিক জীবনে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বর্তমান সময়টি ফেসবুক,ইন্টারনেটের।এ যুগে নিজেদের চরিত্র ঠিক রাখা কষ্টসাধ্য ব্যপারই বটে।তবে ধর্মীয় বিধিবিধানকে মেনে চলতে পারলে চরিত্রকে সুন্দর করে তোলা কঠিন হবেনা।অনেক লোক আছেন যারা ধর্মের কথা বললেই অস্বস্তিতে ভোগেন,নাক ছিঁটকান।অথচ এই ইসলামই পারে মানুষের চরিত্রকে আলাদভাবে প্রকাশ করতে,যোগ্য করে গড়ে তুলতে।
নিজের পরিবার ও সমাজে ধর্মীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে চরিত্র গঠন আরো সহজ হবে।কারণ ধর্মীয় পরিবেশের অভাবে অনেকে বিপথগামী হয়,দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে।তাই আমি মনে করি ইসলামকে অনুসরণের মাধ্যমে আমরা উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে পারি।হাদিসে,চরিত্রবান লোকদের সবচেয়ে উত্তম বলে সার্টিফাই করা হয়েছে।আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসণের মাধ্যমে ভালো ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী করেন।
★লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক