মো: ইদ্রিস আলী।।
সুবর্ণচরে স্ত্রীকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে জেলা শহর মাইজদীতে মানববন্ধন করায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে এসিড নিক্ষেপ করে শরীর ঝলসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
এসিডদগ্ধের মা আরজান বেগম জানান, তার পুত্রবধূকে ধর্ষণের বিচার দাবিতে রবিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মাকে নিয়ে চরবাগ্গা গেলে অভিযুক্ত জয়নাল ও তার সহযোগী রাসেল, জাকের, ফারুখ, মন্নানসহ কয়েকজন তাদের দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
এরপর রাত ৩টায় ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী (৪২) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে জয়নাল তাকে এসিড নিক্ষেপ করে। ওই ব্যক্তির চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে রাত সাড়ে ৪টায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। ভর্তির ৯ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত এসিড দগ্ধ ব্যক্তির জ্ঞান ফিরে আসেনি।
জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মহিউদ্দিন ও ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, এটা এসিড বার্নের ঘটনা। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেওয়া প্রয়োজন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যা জানান, এখানে প্লাস্টিক সার্জনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। রোগীর এ হাসপাতালেই চিকিৎসা সম্ভব। তারপরও বিশেষজ্ঞদের একটি বোর্ড করে যদি প্রয়োজন হয় তখন ঢাকা বার্ন হাসপাতালে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে জরজব্বর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, তিনি ঘটনা শুনেই হাসপাতালের দিকে যাচ্ছেন। ভিকটিম ও তার আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১০ রমজান রাতে সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর চরবাগ্গার স্থানীয় জয়নাল আবেদীন এসিডদগ্ধ ব্যক্তির স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীকে (৩২) ধর্ষণ করে। পরদিন এ ব্যাপারে চরজব্বর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এরপর এ ব্যাপারে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে মামলাটি।