কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম
আজ মঙ্গলবার (১২ ভাদ্র) ধূমকেতুর সঙ্গে তুলনীয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৭৬ সালের ১২ ভাদ্র ঢাকায় অসুস্থ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের গতিপথ পাল্টে বিদ্রোহ-প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ধারা তৈরি করেন। উন্নত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন সাম্য আর মানবতার কথা। ধ্যান-জ্ঞান, নিঃশ্বাস-বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনায় তিনি সম্প্রীতির কবি।
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি।তাঁর রচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে আমাদের বাংলা সাহিত্য।তাঁর সৃষ্টিকর্ম এক বিস্ময়।তিনি নানা সংকট,অভাববেধের মাঝেও যে সাহিত্য রচনা করেছেন তা অতুলনীয়।তাঁর সেই বিস্ময়কর সাহিত্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছেন বিশ্বের সব নামীদামী কবি,সাহিত্যিকগণ।বিশ্বসেরার পুরষ্কার না পেলেও তাঁর রচনা সাড়া জাগিয়েছে সবার মাঝে।অন্যায়ের সাথে তিনি কখনো আপোষ করেননি।তাঁর কবিতায় সেই আপোষহীনতার বজ্রধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে।হয়তো সে কারণে বড় কোন প্রেজেন্টেশন তাঁর কপালে জোটেনি !
ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে বাংলা কাব্যে এক নতুন ধারার জন্ম দেন তিনি- ইসলামী সঙ্গীত তথা গজলের। নজরুল প্রায় তিন হাজার গান রচনা ও সুর করেছেন, যা নজরুল সঙ্গীত হিসেবে পরিচিত।
প্রসংগত, কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৮৯৯ সালের ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। ছোটবেলায় পিতৃহারা হন। এরপর বাধার দুর্লঙ্ঘ্য পর্বত পাড়ি দিতে হয় তাকে। তবে বাংলার সাহিত্যাকাশে দোর্দণ্ড প্রতাপে আত্মপ্রকাশ করেন কবি নজরুল।
তার রচিত ‘চল চল চল’ বাংলাদেশের রণসঙ্গীত।
পরিশেষে, মহান প্রভূর কাছে তারঁ আত্মার শান্তি কামনা করছি।তিনি যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
★লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।