শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চীন-পাকিস্তান ভারত সীমান্তে আকাশ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছে : ভারত

রোকনুজ্জামান রিপন ।। 

লাদাখের নিকটবর্তী সীমান্তের কাছে চীন-পাকিস্তান আকাশে যুদ্ধের জন্য অবস্থান নিয়েছে এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) এটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডের খবরে দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের জে-১০ এবং পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান আকাশে মহড়া শাহীনের অংশ নিয়েছে যেটি লেহ শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে হোতান শহর নামক স্থানে। গিলগিটের বালিতিস্তান অঞ্চল থেকে পাকিস্তান যে জেএফ-১৭ বিমানগুলো স্কার্দু বিমানবন্দর অনুশীলনের জন্য নিয়ে গেছে সেগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে বিমানবাহিনী।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন পরে এই বিমানবন্দরটি চীনা বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে ব্যবহার করছে যা ভারতের সঙ্গে উত্তর অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ঘাঁটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন লাদাখের চুমার ও ডেমচকের আশপাশে ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ ও সীমালঙ্ঘন করে আসছে, তারা তিব্বত অঞ্চলটিকে তাদের বলে দাবি করে আসছে।

ভারত চলতি মাসের ৫ আগস্ট দেশটির সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়। ওই অঞ্চলটিকে দুটি রাজ্যে বিভক্ত করেছে। এরপর থেকে কার্যত জম্মু-কাশ্মীর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে উপত্যকাটিতে ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও কর্মকর্তা মোতায়েন করে ভারত। হিমালয় ঘেরা অঞ্চলটিতে কারফিউ জারি করে। আটক করা হয় মুসলিম নেতাদের।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে নিয়মিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার স্বাধীনতাকামীকে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীর অঞ্চলে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও মোবাইল পরিসেবা বন্ধ করে দেয়। ওই অঞ্চলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করে দেয়া হয়।

এদিকে কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এতে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জেনারেল সু কিলিয়াং ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া অংশগ্রহণ করেছেন।

বৈঠকে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও পাক সেনাপ্রধান একান্ত বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। জেনারেল কামার কাশ্মীর ইস্যুতে বেইজিংয়ের বোঝাপড়া এবং সমর্থনের প্রশংসা করেছেন। এ সময় চীনা সামরিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পাকিস্তান হচ্ছে সময়ের পরিক্রমায় উত্তীর্ণ ও পরীক্ষিত বন্ধু।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈঠকের সময় দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় চীন পাকিস্তানকে সামরিক দিক দিয়ে আরও বেশি সক্ষম করে তোলার জন্য সহযোগিতা করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

চীন-পাকিস্তান ভারত সীমান্তে আকাশ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছে : ভারত

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯
রোকনুজ্জামান রিপন ।। 

লাদাখের নিকটবর্তী সীমান্তের কাছে চীন-পাকিস্তান আকাশে যুদ্ধের জন্য অবস্থান নিয়েছে এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) এটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডের খবরে দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের জে-১০ এবং পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান আকাশে মহড়া শাহীনের অংশ নিয়েছে যেটি লেহ শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে হোতান শহর নামক স্থানে। গিলগিটের বালিতিস্তান অঞ্চল থেকে পাকিস্তান যে জেএফ-১৭ বিমানগুলো স্কার্দু বিমানবন্দর অনুশীলনের জন্য নিয়ে গেছে সেগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে বিমানবাহিনী।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন পরে এই বিমানবন্দরটি চীনা বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে ব্যবহার করছে যা ভারতের সঙ্গে উত্তর অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ঘাঁটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন লাদাখের চুমার ও ডেমচকের আশপাশে ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ ও সীমালঙ্ঘন করে আসছে, তারা তিব্বত অঞ্চলটিকে তাদের বলে দাবি করে আসছে।

ভারত চলতি মাসের ৫ আগস্ট দেশটির সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়। ওই অঞ্চলটিকে দুটি রাজ্যে বিভক্ত করেছে। এরপর থেকে কার্যত জম্মু-কাশ্মীর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে উপত্যকাটিতে ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও কর্মকর্তা মোতায়েন করে ভারত। হিমালয় ঘেরা অঞ্চলটিতে কারফিউ জারি করে। আটক করা হয় মুসলিম নেতাদের।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে নিয়মিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার স্বাধীনতাকামীকে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীর অঞ্চলে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও মোবাইল পরিসেবা বন্ধ করে দেয়। ওই অঞ্চলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করে দেয়া হয়।

এদিকে কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এতে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জেনারেল সু কিলিয়াং ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া অংশগ্রহণ করেছেন।

বৈঠকে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও পাক সেনাপ্রধান একান্ত বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। জেনারেল কামার কাশ্মীর ইস্যুতে বেইজিংয়ের বোঝাপড়া এবং সমর্থনের প্রশংসা করেছেন। এ সময় চীনা সামরিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পাকিস্তান হচ্ছে সময়ের পরিক্রমায় উত্তীর্ণ ও পরীক্ষিত বন্ধু।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈঠকের সময় দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় চীন পাকিস্তানকে সামরিক দিক দিয়ে আরও বেশি সক্ষম করে তোলার জন্য সহযোগিতা করবে।