রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুমিন কোনো অন্যায় করেননি: ফখরুল

 

নজরুল ইসলাম ।।

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সরকারের কাছে প্লট চাওয়াকে সমর্থন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রুমিন ফারহানা কোনো অন্যায় করেননি। রুমিন জোর গলায় পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে সবখানেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। সবখানেই গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেন। ছোটখাটো কোনো বিষয় নিয়ে পাগলের মতো ফেইসবুকে দেওয়ার  কোনো বিষয় নেই।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিচারকদের সরকারের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন নেই বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পর সরকার বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই অবস্থা দেশের মানুষ আগে কখনই  দেখেননি। এমনকি পাকিস্তান আমলেও এমনটা হয়নি। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন কঠিন এক সময়। এই সময় ধৈর্য ধরে সঠিকভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমাদেরকে এগোতে হবে। ঐক্যের বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা মনে করেন একা একাই পারব, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চান তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। মুহূর্তের কথা বললেই তো আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের জন্য তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়, সংগঠন তৈরি করতে হয়। আমরা সেইভাবে মানুষকে তৈরি করার  চেষ্টা করছি।

প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (জাফর) উদ্যোগে কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা আয়োজন করা হয়। কাজী জাফরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কাজী জাফর বলতেন, কখনো হতাশ হবে না। হতাশার কোনো জায়গা  নেই। সত্যিকার অর্থেই যদি দেশপ্রেমিক হও, গণতন্ত্র চাও, তাহলে যতই কষ্ট আসুক তা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব  মোস্তফা জালাল হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়  চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল হক  চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রুমিন কোনো অন্যায় করেননি: ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯

 

নজরুল ইসলাম ।।

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সরকারের কাছে প্লট চাওয়াকে সমর্থন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রুমিন ফারহানা কোনো অন্যায় করেননি। রুমিন জোর গলায় পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে সবখানেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। সবখানেই গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেন। ছোটখাটো কোনো বিষয় নিয়ে পাগলের মতো ফেইসবুকে দেওয়ার  কোনো বিষয় নেই।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিচারকদের সরকারের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন নেই বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার পর সরকার বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই অবস্থা দেশের মানুষ আগে কখনই  দেখেননি। এমনকি পাকিস্তান আমলেও এমনটা হয়নি। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন কঠিন এক সময়। এই সময় ধৈর্য ধরে সঠিকভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমাদেরকে এগোতে হবে। ঐক্যের বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা মনে করেন একা একাই পারব, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চান তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। মুহূর্তের কথা বললেই তো আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের জন্য তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়, সংগঠন তৈরি করতে হয়। আমরা সেইভাবে মানুষকে তৈরি করার  চেষ্টা করছি।

প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (জাফর) উদ্যোগে কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা আয়োজন করা হয়। কাজী জাফরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কাজী জাফর বলতেন, কখনো হতাশ হবে না। হতাশার কোনো জায়গা  নেই। সত্যিকার অর্থেই যদি দেশপ্রেমিক হও, গণতন্ত্র চাও, তাহলে যতই কষ্ট আসুক তা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব  মোস্তফা জালাল হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়  চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল হক  চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।