রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি খুনির দল: প্রধানমন্ত্রী

রোকনুজ্জামান রিপন ।। 

বিএনপিকে খুনির দল বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দলের জন্মই হয়েছে খুনের মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন খুনি এবং সে দল পরিচালনা করেছেন তাদের নিয়ে যারা খুনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের পক্ষ নিয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দল রক্তস্নাত পতাকা খুনিদের হাতে তুলে দেয় তারা আর কিছুই না খুনির দল।তিনি বলেন, তাদের জন্মই হয়েছে হত্যার মধ্য দিয়ে এবং এরপরও তাদের স্বভাবে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জিয়াউর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা সে নিজেই তো খুনী। আর শুধু খুনিই নন, এই খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যানস যেমন জারি করেছিল তেমনি এই খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেছিল। যদিও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী অনেক দেশ এই খুনীদের চাকরি দেয়া মেনে নেয়নি।

তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কুইন্স কাউন্সিলের সদস্য স্যার টমাস উইলিয়াম কিউসি এমপি এর প্রধান ছিলেন। সেই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নোবেলজয়ী শ্যান ম্যকব্রাইটও সেই কমিটিতে ছিলেন। একজন সলিসিটরও নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু জিয়াউর রহমান সরকার তাদের বাংলাদেশে আসার ভিসা দেয়নি। অথচ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় এই টমাস উইলিয়াম কিউসি বাংলাদেশে এসেছিলেন পাকিস্তান সরকারের ভিসায়। কিন্ত জাতির পিতা হত্যার পর বাংলাদেশে তারা ভিসা পেলেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের আমি জিজ্ঞাসা করি- জিয়া যদি খুনি না হন আর তার হাতে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এই বিএনপি যদি খুনিদের দল না হয় তাহলে স্যার টমাস উইলিয়াম কিউসিকে কেন বাংলাদেশে তদন্ত করতে আসতে দেয়া হয়নি? কার দুর্বলতা কি ছিল?’

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া তার স্বামী এবং সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের অনুসরণে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার খুনিদের পুরস্কৃত করে।

প্রধানমন্ত্রী খুন নির্যাতন, বোমা হামলা জিয়াউর রহমানের সময় থেকে শুরু হয়েছিল জানিয়ে বলেন, এই জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। যদিও অনেক দেশর মতো পোল্যান্ড তাদের গ্রহণ করেনি, যেহেতু তারা ছিল খুনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সহ-সভাপতি জাহানারা বেগম, দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক কামাল চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তৃতা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বিএনপি খুনির দল: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯
রোকনুজ্জামান রিপন ।। 

বিএনপিকে খুনির দল বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দলের জন্মই হয়েছে খুনের মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন খুনি এবং সে দল পরিচালনা করেছেন তাদের নিয়ে যারা খুনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের পক্ষ নিয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দল রক্তস্নাত পতাকা খুনিদের হাতে তুলে দেয় তারা আর কিছুই না খুনির দল।তিনি বলেন, তাদের জন্মই হয়েছে হত্যার মধ্য দিয়ে এবং এরপরও তাদের স্বভাবে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জিয়াউর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা সে নিজেই তো খুনী। আর শুধু খুনিই নন, এই খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যানস যেমন জারি করেছিল তেমনি এই খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেছিল। যদিও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী অনেক দেশ এই খুনীদের চাকরি দেয়া মেনে নেয়নি।

তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কুইন্স কাউন্সিলের সদস্য স্যার টমাস উইলিয়াম কিউসি এমপি এর প্রধান ছিলেন। সেই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নোবেলজয়ী শ্যান ম্যকব্রাইটও সেই কমিটিতে ছিলেন। একজন সলিসিটরও নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু জিয়াউর রহমান সরকার তাদের বাংলাদেশে আসার ভিসা দেয়নি। অথচ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় এই টমাস উইলিয়াম কিউসি বাংলাদেশে এসেছিলেন পাকিস্তান সরকারের ভিসায়। কিন্ত জাতির পিতা হত্যার পর বাংলাদেশে তারা ভিসা পেলেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের আমি জিজ্ঞাসা করি- জিয়া যদি খুনি না হন আর তার হাতে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এই বিএনপি যদি খুনিদের দল না হয় তাহলে স্যার টমাস উইলিয়াম কিউসিকে কেন বাংলাদেশে তদন্ত করতে আসতে দেয়া হয়নি? কার দুর্বলতা কি ছিল?’

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া তার স্বামী এবং সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের অনুসরণে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার খুনিদের পুরস্কৃত করে।

প্রধানমন্ত্রী খুন নির্যাতন, বোমা হামলা জিয়াউর রহমানের সময় থেকে শুরু হয়েছিল জানিয়ে বলেন, এই জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। যদিও অনেক দেশর মতো পোল্যান্ড তাদের গ্রহণ করেনি, যেহেতু তারা ছিল খুনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সহ-সভাপতি জাহানারা বেগম, দক্ষিণের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক কামাল চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তৃতা করেন।