মো: হাফিজুর রহমান ।। —
ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে– গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তার দাবি, বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে ভারত ইচ্ছে করে ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়নি। এ সময়ে এমনিতেই বাঁধ খোলা থাকে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত, এ কথা সঠিক নয়। স্বাভাবিক নিয়মেই পানির বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত। এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ সময়ে এমনিতেই বাঁধ খোলা থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভারতের অবস্থান জানেন, আমাদের অবস্থান কী, সেটাও জানেন। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ফলপ্রসূ হবে।
জাতিগত নিধনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে মিয়ানমার সরকার রাজি হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তার আগে দেশটির নাগরিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ কমিশন গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
আবদুল মোমেন বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সাইড লাইনে চীনের উদ্যোগে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে সম্মত হয়েছে দেশটি, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন।’
মন্ত্রী বলেন, এর আগে নাগরিকত্ব শনাক্তকরণে রোহিঙ্গাদের যে আবেদনপত্র পূরণ করতে দেওয়া হয়েছিল তাতে ভুল থাকার কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমার। শনাক্ত হওয়া নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে গত ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আবদুল মোমেন জানান, রোহিঙ্গা সংকট যে মিয়ানমারের তৈরি এবং এর সমাধান তাদেরই করতে হবে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রায় সব দেশ এ বিষয়ে মত দিয়েছে। সেখানে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারকে চাপ দিয়েছে।
এর আগে ‘সহিংসতা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে যুব সমাজের ভূমিকা : উত্তরবঙ্গ থেকে অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।