শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনসহ পাঁচ দেশ থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মো: সাজেদুর রহমান :- সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ।।–

টানা বৈরিতার মধ্যেই চীন ও মালয়েশিয়াসহ পাঁচ দেশ থেকে পণ্য আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার জারিকৃত নির্দেশে অন্য দেশগুলো হল আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর উইথহোল্ড রিলিজ অর্ডারের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি চীনসহ পাঁচটি দেশ দেশগুলো জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে এইসব উৎপাদিত পণ্য যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে।

কাস্টম ও সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক কমিশনার মার্ক মরগ্যান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যের অনেকটা অংশজুড়েই থাকে বৈধ বাণিজ্য ও ভ্রমণ। পাঁচটি দেশের ব্যাপারে বিবৃতি জারি করে আমরা বোঝাতে চেয়েছি যে সেগুলো জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত হলে যুক্তরাষ্ট্র তা চায় না।

এর আগে চলতি বছর টুনা ও টুনা সম্পর্কিত পণ্যের ব্যাপারে এমন একটি নির্দেশ জারি করেছিলো দেশটি। এই নির্দেশনা জারির ক্ষেত্রে সিবিপির নির্ভরযোগ্য তথ্য দরকার হয়। যেখানে বলা থাকবে যে সংশ্লিষ্ট পণ্য জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি উপায়ে এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সংবাদমাধ্যমের তথ্য ও স্থানীয় সংগঠনগুলো থেকে এই তথ্য পায় তারা।

আমদানিকারক পণ্যগুলো আবার রপ্তানি করে দিতে পারেন কিংবা সরকারের সামনে প্রমাণ হাজির করতে পারেন যে এগুলো জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত নয়। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সেগুলো উন্মুক্ত করা সম্ভব।

১৯৩০ সাল থেকেই জোরপূর্বক কাজ করিয়ে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। কিন্তু ২০১৬ সালে কংগ্রেসে আইনটি পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত এর তেমন কোনও প্রয়োগ দেখা যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

সাংবাদিক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট

চীনসহ পাঁচ দেশ থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯
মো: সাজেদুর রহমান :- সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ।।–

টানা বৈরিতার মধ্যেই চীন ও মালয়েশিয়াসহ পাঁচ দেশ থেকে পণ্য আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার জারিকৃত নির্দেশে অন্য দেশগুলো হল আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর উইথহোল্ড রিলিজ অর্ডারের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি চীনসহ পাঁচটি দেশ দেশগুলো জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে এইসব উৎপাদিত পণ্য যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে।

কাস্টম ও সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক কমিশনার মার্ক মরগ্যান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যের অনেকটা অংশজুড়েই থাকে বৈধ বাণিজ্য ও ভ্রমণ। পাঁচটি দেশের ব্যাপারে বিবৃতি জারি করে আমরা বোঝাতে চেয়েছি যে সেগুলো জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত হলে যুক্তরাষ্ট্র তা চায় না।

এর আগে চলতি বছর টুনা ও টুনা সম্পর্কিত পণ্যের ব্যাপারে এমন একটি নির্দেশ জারি করেছিলো দেশটি। এই নির্দেশনা জারির ক্ষেত্রে সিবিপির নির্ভরযোগ্য তথ্য দরকার হয়। যেখানে বলা থাকবে যে সংশ্লিষ্ট পণ্য জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি উপায়ে এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সংবাদমাধ্যমের তথ্য ও স্থানীয় সংগঠনগুলো থেকে এই তথ্য পায় তারা।

আমদানিকারক পণ্যগুলো আবার রপ্তানি করে দিতে পারেন কিংবা সরকারের সামনে প্রমাণ হাজির করতে পারেন যে এগুলো জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত নয়। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সেগুলো উন্মুক্ত করা সম্ভব।

১৯৩০ সাল থেকেই জোরপূর্বক কাজ করিয়ে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। কিন্তু ২০১৬ সালে কংগ্রেসে আইনটি পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত এর তেমন কোনও প্রয়োগ দেখা যায়নি।