শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কারাগারে আসামির মৃত্যু: জেলার ও দুই কারারক্ষী কারাগারে

সম্রাট আকবর :-

চার বছর আগে মেহেরপুর কারাগারে এক কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই সময় দায়িত্বে থাকা জেলার ও দুই কারারক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- মেহেরপুরে সাবেক জেলার আক্তার হোসেন ও সাবেক প্রধান কারারক্ষী আলামীন ও গঞ্জের আলী। আক্তার হোসেন বর্তমানে পিরোজপুর জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। আর আলামিন যশোর জেল খানায় প্রধান কারারক্ষীর দায়িত্ব পালন করছেন। অপর আসামি গঞ্জের অবসরে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ এসএম আব্দুস সালাম। এ দিন তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের জামিরুল ইসলামকে মাদক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর জামিরুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহীনা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। তিন বছরে পুলিশ তিনবার মামলাটির তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করলেও আদালত তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ না করে উচ্চতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। সিআইডির যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেশমা সারমিন দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে হত্যার কথা উল্লেখ করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

কারাগারে আসামির মৃত্যু: জেলার ও দুই কারারক্ষী কারাগারে

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯
সম্রাট আকবর :-

চার বছর আগে মেহেরপুর কারাগারে এক কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই সময় দায়িত্বে থাকা জেলার ও দুই কারারক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- মেহেরপুরে সাবেক জেলার আক্তার হোসেন ও সাবেক প্রধান কারারক্ষী আলামীন ও গঞ্জের আলী। আক্তার হোসেন বর্তমানে পিরোজপুর জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। আর আলামিন যশোর জেল খানায় প্রধান কারারক্ষীর দায়িত্ব পালন করছেন। অপর আসামি গঞ্জের অবসরে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ এসএম আব্দুস সালাম। এ দিন তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের জামিরুল ইসলামকে মাদক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর জামিরুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহীনা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। তিন বছরে পুলিশ তিনবার মামলাটির তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করলেও আদালত তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ না করে উচ্চতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয়। সিআইডির যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেশমা সারমিন দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট আদালতে হত্যার কথা উল্লেখ করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।