শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে

নুরুজ্জামান লিটন :-

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে। সর্বশেষ ২ অক্টোবর খোলাবাজারে প্রতি ডলার ৮৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগেও প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়েছে প্রায় দেড় টাকা। আবার রফতানিকারক ও প্রবাসীদের সুবিধা দিতে সামনে ব্যাংকিং চ্যানেলেও ডলারের দাম বাড়ানোর দাবি উঠেছে।

ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের বাইরে বড় অঙ্কের টাকা চলে গেছে। সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে ঘিরে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তাতে অপরাধীদের একটি অংশের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আবার অনেকে দেশে থাকলেও টাকা পরিবর্তন করে ডলার করে রাখছেন। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ লোকই খোলাবাজার থেকে ডলার কিনছেন।

কারণ ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে গেলে নানা কাগজপত্র লাগে। কিন্তু খোলাবাজার থেকে সহজে টাকা দিয়ে ডলার কেনা যায়। এ পরিস্থিতিতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়লেও সে অনুযায়ী সরবরাহ নেই। ফলে চাপ বেড়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের এমডি যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি অনেক বড় আমদানির দায় পরিশোধ হচ্ছে। এ কারণে অনেককে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে। তবে খোলা বাজারে দাম বাড়লে বড় ক্ষতি হবে না।

ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজার ও মানি চেঞ্জারের লেনদেনও পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পুরো জুলাই মাসে প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি হয়। আগস্টে তা বেড়ে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কোনো কোনো দিন প্রতি ডলার ৮৭ টাকায়ও বিক্রি করে মানি চেঞ্জারগুলো।

এদিকে ব্যাংকগুলোতে এখনও ডলারের তেমন চাপ নেই। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে না। সাধারণত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে চাহিদা তৈরি হলে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছে ২৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৯ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার ডলার কিনতে হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোকে ১৯ হাজার ৪৯ কোটি টাকার ডলার কিনতে হয়েছিল। জুলাই মাসে বিক্রি করে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার, আগস্টে বিক্রি করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে কোনো ডলার বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েছে

প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯
নুরুজ্জামান লিটন :-

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে। সর্বশেষ ২ অক্টোবর খোলাবাজারে প্রতি ডলার ৮৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগেও প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়েছে প্রায় দেড় টাকা। আবার রফতানিকারক ও প্রবাসীদের সুবিধা দিতে সামনে ব্যাংকিং চ্যানেলেও ডলারের দাম বাড়ানোর দাবি উঠেছে।

ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের বাইরে বড় অঙ্কের টাকা চলে গেছে। সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে ঘিরে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তাতে অপরাধীদের একটি অংশের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আবার অনেকে দেশে থাকলেও টাকা পরিবর্তন করে ডলার করে রাখছেন। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ লোকই খোলাবাজার থেকে ডলার কিনছেন।

কারণ ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে গেলে নানা কাগজপত্র লাগে। কিন্তু খোলাবাজার থেকে সহজে টাকা দিয়ে ডলার কেনা যায়। এ পরিস্থিতিতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়লেও সে অনুযায়ী সরবরাহ নেই। ফলে চাপ বেড়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের এমডি যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি অনেক বড় আমদানির দায় পরিশোধ হচ্ছে। এ কারণে অনেককে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে। তবে খোলা বাজারে দাম বাড়লে বড় ক্ষতি হবে না।

ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজার ও মানি চেঞ্জারের লেনদেনও পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পুরো জুলাই মাসে প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি হয়। আগস্টে তা বেড়ে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কোনো কোনো দিন প্রতি ডলার ৮৭ টাকায়ও বিক্রি করে মানি চেঞ্জারগুলো।

এদিকে ব্যাংকগুলোতে এখনও ডলারের তেমন চাপ নেই। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে না। সাধারণত ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে চাহিদা তৈরি হলে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছে ২৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৯ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার ডলার কিনতে হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোকে ১৯ হাজার ৪৯ কোটি টাকার ডলার কিনতে হয়েছিল। জুলাই মাসে বিক্রি করে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার, আগস্টে বিক্রি করে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে কোনো ডলার বিক্রি করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।