বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় ঢুকতে শুরু করেছে তুরস্কের সেনারা

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :

সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে দেশটির ভেতর প্রবেশ শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। বুধবার ভোরের দিকে সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী দলগুলো তাল আবায়েদ ও রাস আল-আইন শহরের দুটি পয়েন্ট দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে বলে তুরস্কের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর ডেইলি সাবাহর। তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সোমবার সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় এরদোগান সরকার। সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের সাঁজোয়া যান মোতায়েনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। সীমান্তে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করে সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরার পথ করে দিতে এ অভিযান হবে বলেও জানিয়েছিল তারা।

তুরস্কের অভিযান চালানোর ঘোষণার পর ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান মিত্ররাও।

মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে তুরস্কের জন্য কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ তৈরি হয়। অথচ কিছু দিন আগ পর্যন্তও কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ মিলিশিয়ারা ছিল মার্কিন বাহিনীর প্রধান মিত্র।সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসডিএফ মিলিশিয়ারা মার্কিনিদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। তবে সম্প্রতি কুর্দি যোদ্ধাদের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পর ওয়াশিংটন তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।এখন আমেরিকা তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নেয়ার পর ক্ষুব্ধ কুর্দিরা বলেছেন, ওয়াশিংটন তাদের পিঠে ‘ছুরি মেরেছে’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘সীমা ছাড়ালে’ তিনি তুরস্কের অর্থনীতিকে গুঁড়িয়ে দেবেন।

সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর প্রবেশ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুর্দি গেরিলাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার গেরিলাদের এক কমান্ডার নিজেদের জনগণকে রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

পরিয়ারী পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল

সিরিয়ায় ঢুকতে শুরু করেছে তুরস্কের সেনারা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :

সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে দেশটির ভেতর প্রবেশ শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। বুধবার ভোরের দিকে সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী দলগুলো তাল আবায়েদ ও রাস আল-আইন শহরের দুটি পয়েন্ট দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে বলে তুরস্কের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর ডেইলি সাবাহর। তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সোমবার সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় এরদোগান সরকার। সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের সাঁজোয়া যান মোতায়েনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। সীমান্তে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করে সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরার পথ করে দিতে এ অভিযান হবে বলেও জানিয়েছিল তারা।

তুরস্কের অভিযান চালানোর ঘোষণার পর ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান মিত্ররাও।

মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে তুরস্কের জন্য কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ তৈরি হয়। অথচ কিছু দিন আগ পর্যন্তও কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ মিলিশিয়ারা ছিল মার্কিন বাহিনীর প্রধান মিত্র।সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসডিএফ মিলিশিয়ারা মার্কিনিদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। তবে সম্প্রতি কুর্দি যোদ্ধাদের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের পর ওয়াশিংটন তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।এখন আমেরিকা তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নেয়ার পর ক্ষুব্ধ কুর্দিরা বলেছেন, ওয়াশিংটন তাদের পিঠে ‘ছুরি মেরেছে’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘সীমা ছাড়ালে’ তিনি তুরস্কের অর্থনীতিকে গুঁড়িয়ে দেবেন।

সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর প্রবেশ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুর্দি গেরিলাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার গেরিলাদের এক কমান্ডার নিজেদের জনগণকে রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।