রোকনুজ্জামান রিপন :=
এমপিও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে ১৭ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাG জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের ফুটপাতে গত দুদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলা কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে বসে দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ করছেন। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত শিক্ষক নেতারা তাদের দুঃখ ও হতাশার বিষয়গুলো তুলে ধরে আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তুলছেন।অনেক শিক্ষক-কর্মচারী ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বেতনভাতা ছাড়া চাকরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন- বক্তব্যের মাধ্যমে এসব বিষয় তারা সবার কাছে তুলে ধরছেন।
বৈষম্য আর অসঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনেক যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা ৩২ বারের মতো প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে জড়ো হয়েছি।
নীতিমালা বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রকাশিত এমপিওপ্রাপ্ত থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাদপড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব বিষয় তুলে ধরতে চাই।নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও ভুলে ভরা ও অসঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালা তৈরি করে নতুন সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।
গত ৫ থেকে ১৮ বছর আগের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন তালিকা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।তিনি বলেন, সরকারের আর্থিক সংকটের কারণে তৎকালীন এসব প্রতিষ্ঠান বাদ দেয়া হলেও নতুন করে এমপিওভুক্তি বাবদ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।বর্তমানে সে অর্থ ফেরত দেয়া হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। অথচ আমাদের যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তি তালিকা করা হয়নি। শিক্ষকদের কান্না প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেন, তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব সমস্যা তুলে ধরতে চাই।