শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

রাশেদুর রহমান রাসু : বিশেষ প্রতিনিধি :=

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভোলা ইস্যুতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধৈর্য্যধারণ ও গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘একটি মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, একজন হিন্দুর ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে নবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যুবলীগের কাউন্সিলের প্রাক্কালে সংগঠনের ৩৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ ওই হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সে সাধারণ ডায়েরি করে বলেছে, তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি যারা এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

ভোলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যখনই দেশ অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তখনই এক শ্রেণির লোক সব সময় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়।

তিনি কোনো গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে বিভিন্নভাবে সমাজ বিপদে পড়তে পারে। তাই প্রত্যেককে প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি কেউ যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সহায়তার পরিবর্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয় প্রচার না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, কোনো ধর্মের লোকজনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা গ্রহণযোগ্য নয়। কেন না সরকার চায় ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষ লড়াই করেছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, একজন মুসলমান কীভাবে ফেসবুকে হিন্দুর আইডি ব্যবহার করে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করতে পারে। এটা খুব দুঃখজনক বিষয়। এ নজিরবিহীন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন ব্যক্তি নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য কি? কেন লোকজন সমবেত হয়েছে এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।

এ সময় মঞ্চে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এমপি।

খবর বাসস।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

একটি মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
রাশেদুর রহমান রাসু : বিশেষ প্রতিনিধি :=

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভোলা ইস্যুতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধৈর্য্যধারণ ও গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘একটি মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, একজন হিন্দুর ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে নবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যুবলীগের কাউন্সিলের প্রাক্কালে সংগঠনের ৩৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ ওই হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সে সাধারণ ডায়েরি করে বলেছে, তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি যারা এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

ভোলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যখনই দেশ অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তখনই এক শ্রেণির লোক সব সময় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়।

তিনি কোনো গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে বিভিন্নভাবে সমাজ বিপদে পড়তে পারে। তাই প্রত্যেককে প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি কেউ যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সহায়তার পরিবর্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয় প্রচার না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, কোনো ধর্মের লোকজনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা গ্রহণযোগ্য নয়। কেন না সরকার চায় ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষ লড়াই করেছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, একজন মুসলমান কীভাবে ফেসবুকে হিন্দুর আইডি ব্যবহার করে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করতে পারে। এটা খুব দুঃখজনক বিষয়। এ নজিরবিহীন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন ব্যক্তি নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য কি? কেন লোকজন সমবেত হয়েছে এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।

এ সময় মঞ্চে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এমপি।

খবর বাসস।