শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তারে অনুমতি কেন : হাইকোর্ট

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=

ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে সরকার বা সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার বিধান সংবলিত সরকারি কর্মচারী আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা কেন সংবিধানবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।

‘সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮-এর ৪১ (১) ধারা কেন বেআইনি হবে না এবং তা সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত ১৪ অক্টোবর আইনটির ৪১ (১) ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল।

গত বছর ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি করে সরকার। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি এক গেজেটে জানানো হয় ১ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হবে। এ আইনের ৪১ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, সরকারি কর্মচারী আইনের ৪১ (১) ধারার মতো একই ধরনের বিশেষ সুবিধা বা বৈষম্যমূলক বিধান রেখে ২০১৩ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ৩২ (ক) ধারা প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে রিট করা হলে হাইকোর্ট ধারাটিকে বৈষম্যমূলক ঘোষণা করে তা বাতিল করেছিল। সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারাটি আদালতের রায়ের পরিপন্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তারে অনুমতি কেন : হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৭:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯
আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=

ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে সরকার বা সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার বিধান সংবলিত সরকারি কর্মচারী আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা কেন সংবিধানবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।

‘সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮-এর ৪১ (১) ধারা কেন বেআইনি হবে না এবং তা সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত ১৪ অক্টোবর আইনটির ৪১ (১) ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল।

গত বছর ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি করে সরকার। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি এক গেজেটে জানানো হয় ১ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হবে। এ আইনের ৪১ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, সরকারি কর্মচারী আইনের ৪১ (১) ধারার মতো একই ধরনের বিশেষ সুবিধা বা বৈষম্যমূলক বিধান রেখে ২০১৩ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ৩২ (ক) ধারা প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে রিট করা হলে হাইকোর্ট ধারাটিকে বৈষম্যমূলক ঘোষণা করে তা বাতিল করেছিল। সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারাটি আদালতের রায়ের পরিপন্থী।