প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫, ১:৫৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৪, ২০১৯, ৬:০২ পি.এম
কুষ্টিয়া কারাগারে শিক্ষার আলো
![]()
খালিদ হাসান রিংকুঃ- কুস্টিয়া থেকে
অশিক্ষিত বা অক্ষর জ্ঞানহীন কারাবন্দীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কুষ্টিয়া জেলা কারা কর্তৃপক্ষ। এখন এই কারাগারে কোনো বন্দি গেলে নিবন্ধন খাতায় টিপসই দেওয়ার সুযোগ নেই। তার জন্য নাম সই করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১৭ সালে বর্তমান জেলা সুপার জাকের হোসেন কুষ্টিয়া কারাগারে যোগদানের পর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। তিনি কয়েকজন শিক্ষিত বন্দিকে অনুরোধ করেন যাতে তারা এই কারাগারে আসা নিরক্ষর কয়েদীদের কম কলেও সাক্ষরজ্ঞান শেখানোর দায়িত্ব নেন। এরপর একজন বন্দি অধক্ষ্যের নেতৃত্বে শিক্ষক প্যানেল গঠন করা হয়। তারা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নিরক্ষর বন্দিদের ক্লাস নেন। এর মধ্যে আধ ঘণ্টা নৈতিকতার শিক্ষাও দেওয়া হয়। এখানে প্রথমে নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান শেখানো হয়। পরে তাদের দেওয়া হয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা। জেল সুপার জানান, এই কার্যক্রম শুরুর বছর ২০১৭ সালে ৪২০ জনকে সাক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৬৩ জন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৮৫ জন বন্দি এখান থেকে পাঠ নিয়েছেন। কেবল প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নয়, বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া এই কারাগারে বন্দিদের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে তিন মাস মেয়াদে ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং, ৬ মাস মেয়াদি টিভি-ফ্রিজ মেরামত ও তাঁত প্রশিক্ষণ। কারা সুপার জাকের হোসেন জানান, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা জেলখানায় বন্দিদের হাতকে কর্মীর হাতে রুপান্তরিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতেই তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho