আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান :=
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামিরই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের সেই রায় শুনে কেঁদেছেন নুসরাতের বাবা একেএম মুসা। তবে সেই কান্না খুশির কান্না। অনেক অপেক্ষার পর আজ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কাঁদলেন নুসরাতের বাবা ও ভাই। নুসরাতের বাবা বলেন, সাড়ে ছয় মাস ধরে আমরা কেঁদেছি। আজকেও কাঁদছি। তবে ওই কান্না আর আজকের কান্নার মধ্যে তফাৎ আছে। এই কয়টা মাস আজকের এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আজ সব আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এ রায়ে নুসরাতের আত্মা আজ শান্তি পাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। এ রায় কার্যকর করা হলে আমার বোনের আত্মা শান্তি পাবে।
‘তবে রায়ের পর আসামিরা কাঠগড়া থাকাবস্থায় আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আসামিদের স্বজনরা আমার বাড়ির আশপাশে এসে হুমকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এবং পরিবারের নিরাপত্তা চাই।’ আসামিদের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন নুসরাতের বড় ভাই।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। রায়ে নুসরাতের পরিবার ও তার আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী আপিল করার কথা বলেছেন।