মো: ইদ্রিস আলী :=
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক দল ছাড়া ক্লিন ইমেজের কোনো লোক অন্য দল থেকে আসলে আমরা তাকে অবশ্যই স্বাগত জানাব। তাদের আমরা অনুপ্রবেশকারী বলব না। যারা ভালো মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে, তারা অন্য দল করেও আসতে পারেন।
তিনি বলেন, কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে অনুপ্রবেশ, সেটা আমাদের শক্তভাবে দলীয় সিদ্ধান্তে নিষিদ্ধ। সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে যারা আসে এবং চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত ভূমিদস্যু, জনগণের কাছে যাদের ইমেজ খারাপ- এ ধরনের লোকজনই অনুপ্রবেশকারী।
মন্ত্রী শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের সফিপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফোর লেন কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছেন এবং তার কাছে এ তালিকা আছে। তালিকাটি আমাদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি এখন এ তালিকা বিভিন্ন বিভাগে যারা আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। সম্প্রতি সারা দেশে সম্মেলন হচ্ছে এবং সারা দেশে নতুন করে যে সম্মেলন হচ্ছে তাতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসছে।
‘অপকর্মকারী লোকজন আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়েছেন। তালিকা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। এ তালিকায় দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম আছে’।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়কের নতুন আইন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করতে সময় লাগবে। সড়কে শৃঙ্খলাবোধ ফিরিয়ে আনতে নিয়ম মেনে চলতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য এবং এটিই আমাদের চ্যালেঞ্জ। সড়ক নিরাপত্তা আইনটিও সে জন্যই করা। অবকাঠামোগত সমস্যা বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে। শৃঙ্খলা না থাকলে এসব উন্নয়নের কোনো দাম নেই’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন অবকাঠামোগত সমস্যা নেই। এ কালিয়াকৈরে রেল ওভারপাসসহ পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে চন্দ্রা, কোনাবাড়িতে ফ্লাইওভার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। লতিফপুর রেল ওভারপাস হয়ে গেছে। কালিয়াকৈর ও সফিপুরে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। সফিপুরে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। আগামী বছর ডিসেম্বর নাগাদ এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।