তানজীর মহসিন :=
সোয়া ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশীদকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানিয়েছেন। এরআগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “অবৈধ সম্পদের অর্থ থেকে রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীর রূপায়ন বিল্ডার্সে তিন কোটি আট লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে বজলুর রশীদের নামে।”
কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ এখন ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন।
জেল সুপার পদে বরগুনায় কর্মজীবন শুরু করে সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি এবং জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন তিনি।
গত ৬ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা স্থানান্তর করতে ডিআইজি প্রিজনস (হেডকোয়ার্টার্স) বজলুর রশীদ অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়েছেন। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শতাধিক ধাপে তিনি পাঠিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার।
এজন্য প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে স্ত্রীর নামে সিম তোলা হয়েছে এবং সরাসরি নিজে টাকা না পাঠিয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।