নুরুজ্জামান লিটন :=
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পৃথিবী এখন জরুরি অবস্থার মুখোমুখি বলে মন্তব্য করা একটি গবেষণা প্রতিবেদনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন বিশ্বের ১৫৩টি দেশের প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞানী।
৪০ বছরের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে করা জলবায়ুর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পৃথিবী এখন জরুরি অবস্থার মুখোমুখি। পরিবর্তনজনিত সংকট চিহ্নিত করতে বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় আমূল ও টেকসই পরিবর্তন ছাড়া বিশ্ব‘অবর্ণনীয় দুর্ভোগের’ পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বলেও এতে সতর্ক করা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।
সংকটের প্রকৃত স্বরূপ দেখাতে গবেষকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য-উপাত্তও হাজির করেছেন, যা ‘গত ৪০ বছরের জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নগুলোর সচিত্র সংকলন’।
গবেষকদের দেয়া এ তথ্যগুলোর মধ্যে আছে, মানুষ ও প্রাণীকূলের সংখ্যা বৃদ্ধি, মাথাপিছু মাংস উৎপাদন, বিশ্বজুড়ে বৃক্ষ আচ্ছাদিত স্থান হ্রাস এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার।
তিনি আরো বলেন, আমরা কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়েছি, তাপমাত্রা বাড়িয়েছি; ৪০ বছর ধরে আমরা এটি জানি এবং ঠেকানোরও কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছি না; আমরা যে ভয়াবহ সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি তা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই।
সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা তেল ও গ্যাসের স্থানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, মিথেন, হাইড্রোফ্লুরোকার্বনের ব্যবহার কমিয়ে আনা, জমির বিনাশ ঠেকানো, বন, তৃণভূমি ও ম্যানগ্রোভ বন যেগুলো বিপুল পরিমান কার্বন শোষণ করে তার পরিমাণ বাড়ানো, মানুষের খাদ্যভ্যাস বদলে ফেলা- বিশেষ করে মাংসে আসক্তি কমানো, খাদ্য অপচয় কমানো, কার্বন নিঃসৃত জ্বালানি নির্ভর অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি থেকে সরে আসা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।