রাশেদুর রহমান রাশু : বিশেষ প্রতিনিধি :=
সম্প্রতি ঘোষিত হল ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নামের তালিকা। এ তালিকায় এবারও স্থান পেয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনয়শিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, নির্মাতাসহ অন্যরা। যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তারা খুশির জোয়ারে ভাসছেন। এদের মধ্য থেকে কয়েকজন তারকা যুগান্তরের কাছে সেই খুশির অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
* সাবিনা ইয়াসমিন (সেরা গায়িকা) : আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছি, এটা ভালোলাগার একটি সংবাদ। অবশ্যই আনন্দিত আমি। এবারেরটা নিয়ে ১৪ বার সেরা গায়িকার পুরস্কার পাচ্ছি। আমার তো মনে হয় না, আমি ছাড়া আর কোনো সঙ্গীতশিল্পী বাংলাদেশে এতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। সব মিলিয়ে ভালোলাগার এক ঘোরের মধ্যে আছি এখন।
* শাকিব খান (সেরা অভিনেতা) : এবার নিয়ে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এটা আমার জন্য অবশ্যই সম্মানের। এবার যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন। কিছু বিতর্ক থাকবেই। এসব কিছু এড়িয়ে যোগ্যদের সম্মান জানানো উচিত। এ পুরস্কার আমার কাজের উৎসাহ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। দর্শকদের ভালোবাসায় আমি আজকের এ অবস্থানে এসেছি। তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
* জয়া আহসান (সেরা অভিনেত্রী) : বরাবরের মতোই ভালো লাগছে। কাজের জন্য যে কোনো পুরস্কার কিংবা সম্মাননা প্রাপ্তিতে দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়। সেটাই হল। আবার কষ্টেরও। ভয় লাগছে আবার ভালোও লাগছে ভীষণ। ২০১৮ সালের সফল একটি ছবি দেবী। সেই ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছি। এ ছবির প্রযোজকও আমিই ছিলাম। তাই সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগছে সময়গুলো।
* নুসরাত ইমরোজ তিশা (সেরা অভিনেত্রী) : খুব ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ। এ পুরস্কার প্রাপ্তি শুধু আমার একার নয়, এটা ‘হালদা’ ছবির পুরো টিমেরই। যে কোনো সম্মাননা কিংবা পুরস্কার সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা জোগায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যে কোনো অভিনয়শিল্পীর জন্যই মর্যাদাকর। এ পুরস্কারটির জন্য বেশ আনন্দিত আমি। আরও ভালো কাজ করার জন্য এ পুরস্কার দারুণভাবে উৎসাহিত করেছে আমাকে।
* সাইমন সাদিক (সেরা অভিনেতা) : আমার অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে সেরা অর্জন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া। এ রকম একটি পুরস্কারের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তবে ছবিটি যারা দেখেছেন, তারা সবাই প্রশংসা করেছিলেন। অবশ্যই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর আমার দর্শক যারা ছিলেন, এবং জুরি বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ আমাকে এ পুরস্কার দেয়ার জন্য এবং যোগ্য মনে করার জন্য।
* মোস্তাফিজুর রহমান মানিক (সেরা পরিচালক) : অনেক আশা ছিল যে ‘দুই নয়নের আলো’ ছবির জন্যই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটা পাব। তবে সেটি আর হয়নি। এত বছর পর যেহেতু পেলাম, তাই আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। যোগ্যতা নয়, আমি মনে করি আমার ডেডিকেশনের পুরস্কার এটি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটি ভালো ছবি বানানোর চেষ্টা করেছি। ‘জান্নাত’ ছবিটি যখন মুক্তি পেয়েছিল তখন সবাই প্রশংসা করেছিল, ভালো রিভিউও এসেছিল এবং অনেকে বলাবলি করছিল যে ছবিটি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার মতো হয়েছে। পুরস্কার পাওয়ার পর আনন্দিত, বিস্মিত ও কৃতজ্ঞ।