রোকনুজ্জামান রিপন :=
ভবিষ্যতে ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রেলে যারা কাজ করেন তাদের আরও শক্ত (দক্ষ) করা উচিত এবং সেই সঙ্গে আমাদের রেল চালকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জানি না কেন শীত মৌসুম আসলেই কেবল আমাদের দেশেই নয়, সমগ্র বিশ্বেই রেলের দুর্ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়।’ ট্রেন দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বুলবুলের মতো সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এ ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। যে ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণহানি এবং বহু আহত হয়েছে।’ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেলমন্ত্রী ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
রেল যোগাযোগটা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং তার সরকার এর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা রেলের বহরে নতুন নতুন ট্রেন যোগ করে রেলকে সম্প্রসারিত করে দিচ্ছি। কারণ মানুষ এবং পণ্য পরিবহনে রেল সব থেকে নিরাপদ যান।’
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন উদয়ন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশিথা ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু।
বেপজা বোর্ড অব গভর্নর্সের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।