শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফলো আপ নিউজ : বেনাপোল কাস্টস হাউসের গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরি

তানজীর মহসিন :=

বেনাপোল কাস্টস হাউসের নিরাপদ গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনা উদঘাটনে সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা এখন মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করছে।
তবে আরো কোটি কোটি টাকার সোনা ডলার ও টাকা পয়সা ভোল্টে থাকলেও তা নেয়নি দুবৃওরা। কিভাবে ৪ স্তর বিশিস্ট নিরাপওা বেস্টনি ও ২০ টি সিসি ক্যামেরা পেরিয়ে দুর্বৃওরা ভোল্ট ভেংগে ২০ কেজি সোনা নিয়ে গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কাস্টমস এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ সাহিবুর সর্দার সহ ৫ জনকে আটক করে জিঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কাস্টমস এর বিভিণœ শাখায় নিয়োজিত ৩ জন পিয়নকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধূরী জানান।

দুধর্ষ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে পোর্ট থানা সহ র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি এবং পিবিআই সহ বিভিণœ গোয়েন্দা সংস্থা গত তিন ধরে বেনাপোল চষে বেড়াচ্ছে। তবে চুরি যাওয়া সোনার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকার বলে কাস্টমস সুত্র জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রুবার , শনিবার ও রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না। সোমবার সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

যুগ্ন কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, চুরি যাওয়া সোনার অধিকাংশই বিভিণœ চোরাচালান মামলার আলামত হিসেবে রাখা ছিল। তবে সিসি ক্যামেরার সব কিছু দেখাশুনা করতো পিয়ন টিপু সুলতান ও আজিবর রহমান। ঘটনায় আগে ভাগেই সব গুলো সিসি ক্যামরা অকেজো করে রাখা হয়। অবৈধ এসব পিয়নরা কাস্টমস এ যোগদানের পরপরই বিপুল অর্থ সম্পওির মালিক হয়ে যায়। তবে রাতে কাস্টমস এর সিপাহী ও আনসার সদদস্যরাও নিরাপওার দায়িত্বে ছিল। দুর্বৃওরা কিভাবে রাতে পর্যাপ্ত আলোর মধ্যে দোতলায় গিয়ে সোনা নিয়ে গেল তা নিয়ে তদন্ত সংস্থা গুলো বিশ্ময় প্রকাশ করেছে।

ভোল্টে মূল্যবান আরো বিপুল পরিমাণ সোনা, ডলার ও টাকা থাকলেও শুধু মাত্র ২০ কেজি সোনা নিয়ে যায় তারা। বাকি সোনা ,ডলার টাকা পয়সা কেন চুরি হলো না বিষয়টি নিয়েও এগোচ্ছে তদন্ত সংস্থা।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন গুদামের মধ্যে মূল্যবান সোনা, ডলার ও টাকা পয়সা রাখা ছিল ভোল্টে। তবে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে। বাইরে থেকে চোর ঢুকে সোনা চুরি করা খুব কঠিন । এই চুরির সঙ্গে ভেতরের কারও যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি চোর ধরা পড়বে।
প্ররক:Ñ মহসিন মিলন। বেনাপোল অফিস। তারিখ:- ১৩.১১.১৯
মোবা–০১৭১১৮২০৩৯৪

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ভূরুঙ্গামারীতে প্রা.বি.সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

ফলো আপ নিউজ : বেনাপোল কাস্টস হাউসের গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরি

প্রকাশের সময় : ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

তানজীর মহসিন :=

বেনাপোল কাস্টস হাউসের নিরাপদ গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনা উদঘাটনে সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা এখন মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করছে।
তবে আরো কোটি কোটি টাকার সোনা ডলার ও টাকা পয়সা ভোল্টে থাকলেও তা নেয়নি দুবৃওরা। কিভাবে ৪ স্তর বিশিস্ট নিরাপওা বেস্টনি ও ২০ টি সিসি ক্যামেরা পেরিয়ে দুর্বৃওরা ভোল্ট ভেংগে ২০ কেজি সোনা নিয়ে গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কাস্টমস এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জ সাহিবুর সর্দার সহ ৫ জনকে আটক করে জিঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কাস্টমস এর বিভিণœ শাখায় নিয়োজিত ৩ জন পিয়নকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধূরী জানান।

দুধর্ষ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে পোর্ট থানা সহ র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি এবং পিবিআই সহ বিভিণœ গোয়েন্দা সংস্থা গত তিন ধরে বেনাপোল চষে বেড়াচ্ছে। তবে চুরি যাওয়া সোনার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকার বলে কাস্টমস সুত্র জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রুবার , শনিবার ও রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না। সোমবার সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।

যুগ্ন কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, চুরি যাওয়া সোনার অধিকাংশই বিভিণœ চোরাচালান মামলার আলামত হিসেবে রাখা ছিল। তবে সিসি ক্যামেরার সব কিছু দেখাশুনা করতো পিয়ন টিপু সুলতান ও আজিবর রহমান। ঘটনায় আগে ভাগেই সব গুলো সিসি ক্যামরা অকেজো করে রাখা হয়। অবৈধ এসব পিয়নরা কাস্টমস এ যোগদানের পরপরই বিপুল অর্থ সম্পওির মালিক হয়ে যায়। তবে রাতে কাস্টমস এর সিপাহী ও আনসার সদদস্যরাও নিরাপওার দায়িত্বে ছিল। দুর্বৃওরা কিভাবে রাতে পর্যাপ্ত আলোর মধ্যে দোতলায় গিয়ে সোনা নিয়ে গেল তা নিয়ে তদন্ত সংস্থা গুলো বিশ্ময় প্রকাশ করেছে।

ভোল্টে মূল্যবান আরো বিপুল পরিমাণ সোনা, ডলার ও টাকা থাকলেও শুধু মাত্র ২০ কেজি সোনা নিয়ে যায় তারা। বাকি সোনা ,ডলার টাকা পয়সা কেন চুরি হলো না বিষয়টি নিয়েও এগোচ্ছে তদন্ত সংস্থা।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন গুদামের মধ্যে মূল্যবান সোনা, ডলার ও টাকা পয়সা রাখা ছিল ভোল্টে। তবে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে। বাইরে থেকে চোর ঢুকে সোনা চুরি করা খুব কঠিন । এই চুরির সঙ্গে ভেতরের কারও যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি চোর ধরা পড়বে।
প্ররক:Ñ মহসিন মিলন। বেনাপোল অফিস। তারিখ:- ১৩.১১.১৯
মোবা–০১৭১১৮২০৩৯৪