বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষের ঘরে বিদুৎ পৌঁছাতে পেরেছিঃ প্রধানমন্ত্রী

মো: ইদ্রিস আলী।।=

আমরা পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছি। বিতরণ ও সঞ্চালনেরও ব্যবস্থা আমরা করছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষের ঘরে বিদুৎ পৌঁছাতে পেরেছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ এর মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ এর মধ্যে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবো। কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরেই আলো জ্বলবে। সেই লক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় আমাদের গ্রিড লাইন নেই। তবে যেখানে গ্রিড লাইন নেই বা দুর্গম এলাকা, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। বায়ো গ্যাস প্লান্ট বা সোলার প্যানেল বিভিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।

তিনি বলেন, আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যে অর্থ খরচ হয়, তার থেকে কম অর্থে আমরা সরবরাহ করে যাচ্ছি। ভর্তুকিও আমাকে দিতে হচ্ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হবেন। বিদ্যুৎ অপচয় যেন না হয়।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা একেবারে গ্রাম পর্যায়ে অর্থাৎ উন্নয়নটা শুধু শহরে বসবাস করা বা রাজধানীতে বসবাস করা কিছু মানুষেরই উন্নয়ন না, উন্নয়নটা হচ্ছে একেবারে গ্রাম পর্যায়, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, আজ সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো আনোয়ারা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, রংপুরে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলীতে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবহা ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটিয়া ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেঁতুলিয়া ৮ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গাজীপুর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এছাড়া, শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতাধীন ২৩ উপজেলা হলো বগুড়ার গাবতলী, শেরপুর, শিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, ফরিদপুরের মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, নবীগঞ্জ, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া, নেত্রকোনার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ এবং পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই পালালেন স্ত্রী

প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষের ঘরে বিদুৎ পৌঁছাতে পেরেছিঃ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
মো: ইদ্রিস আলী।।=

আমরা পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছি। বিতরণ ও সঞ্চালনেরও ব্যবস্থা আমরা করছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষের ঘরে বিদুৎ পৌঁছাতে পেরেছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ এর মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ এর মধ্যে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবো। কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরেই আলো জ্বলবে। সেই লক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় আমাদের গ্রিড লাইন নেই। তবে যেখানে গ্রিড লাইন নেই বা দুর্গম এলাকা, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। বায়ো গ্যাস প্লান্ট বা সোলার প্যানেল বিভিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।

তিনি বলেন, আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যে অর্থ খরচ হয়, তার থেকে কম অর্থে আমরা সরবরাহ করে যাচ্ছি। ভর্তুকিও আমাকে দিতে হচ্ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, এই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হবেন। বিদ্যুৎ অপচয় যেন না হয়।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা একেবারে গ্রাম পর্যায়ে অর্থাৎ উন্নয়নটা শুধু শহরে বসবাস করা বা রাজধানীতে বসবাস করা কিছু মানুষেরই উন্নয়ন না, উন্নয়নটা হচ্ছে একেবারে গ্রাম পর্যায়, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, আজ সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো আনোয়ারা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, রংপুরে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলীতে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবহা ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটিয়া ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেঁতুলিয়া ৮ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গাজীপুর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এছাড়া, শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতাধীন ২৩ উপজেলা হলো বগুড়ার গাবতলী, শেরপুর, শিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, ফরিদপুরের মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, নবীগঞ্জ, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া, নেত্রকোনার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ এবং পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী।