শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি হচ্ছে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’।

প্রফেসর জিন্নাত আলী :=‘

ডিটেনশন ক্যাম্প’- এই শব্দটা শুনলেই এখন আঁতকে উঠছেন মানুষ। আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি হচ্ছে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’। বৃহস্পতিবার খোদ রাজ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভয়ে চুপসে গেছে গোটা ‘দিদি রাজ্য’। আর এতেই ‘পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি হবে’ বলে ক্ষমতাসীন বিজেপির সেই আগাম ঘোষণাই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাড়ছে ভয়, তৈরি হচ্ছে উৎকণ্ঠা। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি নিয়ে তৈরি হচ্ছে উৎকণ্ঠা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গেই তৈরি হচ্ছে দুটো ডিটেনশন ক্যাম্প। একটা কলকাতার নিউ টাউন এলাকাখ্যাত রাজারহাটে, অন্যটি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বনগাঁয়।

মমতা ব্যানার্জি নিজেই এই দুই স্থান অনুমোদন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বরাত দিয়ে স্থানীয় দৈনিক টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এ খবর নিশ্চিত করেছে। দুশো’রও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে আটকে রাখা হবে ওই ক্যাম্প দুটিতে।

মন্ত্রী জানান, ‘বিভিন্ন দেশের ২৫০ জনকে সরকার বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে ১৪০ জনকে নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া গেছে। কিন্তু এখনও এ রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি আছে ১১০ জন।

তাদের জন্য অন্য বন্দিদেরও সমস্যা হচ্ছে। আলাদা করে বিদেশি বন্দিদের রাখার জন্যই এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে।’শাসকদল তৃণমূল এনআরসির কট্টর বিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী থেকে সামনের সারির সব নেতা-মন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় বারবার বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। স্পষ্ট করে বলছেন, তৃণমূল যতদিন আছে ততদিন বাংলায় ‘নো এনআরসি।’

দুদিন আগে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছিল আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পের ‘অমানবিকতার’ কথা! কারামন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর সঙ্গে এনআরসির দূরদূরান্তে কোনো যোগ নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে বিদেশিরা বন্দি রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই নাইজেরিয়ার নাগরিক।

গত দেড় বছরে কোকেনসহ একাধিক নিষিদ্ধ জিনিস পাচার করার ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনাগুলোতে নাইজেরিয়ার নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি কলকাতা ময়দানের ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিল এই তালিকায়। এখনও যে ১১০ জন বন্দি আছে, এদের মধ্যে শিশুসহ মা-ও আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি হচ্ছে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’।

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
প্রফেসর জিন্নাত আলী :=‘

ডিটেনশন ক্যাম্প’- এই শব্দটা শুনলেই এখন আঁতকে উঠছেন মানুষ। আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি হচ্ছে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’। বৃহস্পতিবার খোদ রাজ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভয়ে চুপসে গেছে গোটা ‘দিদি রাজ্য’। আর এতেই ‘পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি হবে’ বলে ক্ষমতাসীন বিজেপির সেই আগাম ঘোষণাই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বাড়ছে ভয়, তৈরি হচ্ছে উৎকণ্ঠা। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি নিয়ে তৈরি হচ্ছে উৎকণ্ঠা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গেই তৈরি হচ্ছে দুটো ডিটেনশন ক্যাম্প। একটা কলকাতার নিউ টাউন এলাকাখ্যাত রাজারহাটে, অন্যটি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বনগাঁয়।

মমতা ব্যানার্জি নিজেই এই দুই স্থান অনুমোদন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বরাত দিয়ে স্থানীয় দৈনিক টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এ খবর নিশ্চিত করেছে। দুশো’রও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে আটকে রাখা হবে ওই ক্যাম্প দুটিতে।

মন্ত্রী জানান, ‘বিভিন্ন দেশের ২৫০ জনকে সরকার বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে ১৪০ জনকে নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া গেছে। কিন্তু এখনও এ রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি আছে ১১০ জন।

তাদের জন্য অন্য বন্দিদেরও সমস্যা হচ্ছে। আলাদা করে বিদেশি বন্দিদের রাখার জন্যই এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে।’শাসকদল তৃণমূল এনআরসির কট্টর বিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী থেকে সামনের সারির সব নেতা-মন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় বারবার বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। স্পষ্ট করে বলছেন, তৃণমূল যতদিন আছে ততদিন বাংলায় ‘নো এনআরসি।’

দুদিন আগে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছিল আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পের ‘অমানবিকতার’ কথা! কারামন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর সঙ্গে এনআরসির দূরদূরান্তে কোনো যোগ নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে বিদেশিরা বন্দি রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই নাইজেরিয়ার নাগরিক।

গত দেড় বছরে কোকেনসহ একাধিক নিষিদ্ধ জিনিস পাচার করার ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনাগুলোতে নাইজেরিয়ার নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি কলকাতা ময়দানের ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিল এই তালিকায়। এখনও যে ১১০ জন বন্দি আছে, এদের মধ্যে শিশুসহ মা-ও আছে।