বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু”নির্বাচিত

রোকনুজ্জামান রিপন :=

সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু”  কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটের রায়ে নির্বাচিত হয়েছে যশোর সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব।ত্রিবার্ষিক এই নির্বাচনে মোহিতকুমার নাথ ও শাহারুল ইসলাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে, শহরের নেতৃত্বে এসেছেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ ও মাহমুদ হাসান বিপু।শনিবার আওয়ামী লীগের এই দু’ইউনিটের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বিবদমান দু’পক্ষের নেতাদের নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচরেন প্রাথমিক চেষ্টা করেন। কিন্তু কাউন্সিলরদের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটে রায় প্রদানের ব্যবস্থা করেন। আগে থেকে প্রস্তুত করা যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ভোট বুথে বিকেল তিনটার পর শুরু হয় যশোর সদর উপজেলা ও শহর কমিটির নেতা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আব্দুর রহমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।নির্বাচনে সদর উপজেলা ইউনিটের ৫৪৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫৩৪ জন ভোট দেন। এ ইউনিটের সভাপতি পদ থেকে মীর আরশাদ আলী রহমান “”সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু” “সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপুপ্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এ পদে নির্বাচনে দু’জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু” “সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপুভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান আব্দুর রহমান বাকি দু’কমিশন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে ২৯০ ভোট পেয়ে মোহিত কুমার নাথ সভাপতি পদে আবার দায়িত্ব পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু পান ২৩৬ ভোট।সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নে পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম সর্বাধিক ৩০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন পেয়েছেন ২২০ ভোট।এদিকে যশোর শহর আওয়ামী লীগের ২৫৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৪৩ জন ভোট দেন। এতে ১৪৬ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৯৭।সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হোসেন বিপু ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল কবির বিজুর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭৭।এছাড়া এই পদের অপর প্রার্থী আজহার হোসেন স্বপন পেয়েছেন ৪৯ ভোট।এদিকে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজয়ী প্রার্থীদের অনুসারীরা তখনই শহরে আনন্দমিছিল করেন।ফলাফল ঘোষণার পর দলীয় নেতা কর্মীরা নতুন নেতাদের গলায় ফুলের মালাপরিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে এবং দলের কেউ কেউ মিস্টি মুখ করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু”নির্বাচিত

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
রোকনুজ্জামান রিপন :=

সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু”  কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটের রায়ে নির্বাচিত হয়েছে যশোর সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব।ত্রিবার্ষিক এই নির্বাচনে মোহিতকুমার নাথ ও শাহারুল ইসলাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে, শহরের নেতৃত্বে এসেছেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ ও মাহমুদ হাসান বিপু।শনিবার আওয়ামী লীগের এই দু’ইউনিটের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বিবদমান দু’পক্ষের নেতাদের নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচরেন প্রাথমিক চেষ্টা করেন। কিন্তু কাউন্সিলরদের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটে রায় প্রদানের ব্যবস্থা করেন। আগে থেকে প্রস্তুত করা যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ভোট বুথে বিকেল তিনটার পর শুরু হয় যশোর সদর উপজেলা ও শহর কমিটির নেতা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আব্দুর রহমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।নির্বাচনে সদর উপজেলা ইউনিটের ৫৪৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫৩৪ জন ভোট দেন। এ ইউনিটের সভাপতি পদ থেকে মীর আরশাদ আলী রহমান “”সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু” “সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপুপ্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এ পদে নির্বাচনে দু’জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপু” “সদরে মোহিত-শাহারুল, শহরে আসাদ-বিপুভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান আব্দুর রহমান বাকি দু’কমিশন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে ২৯০ ভোট পেয়ে মোহিত কুমার নাথ সভাপতি পদে আবার দায়িত্ব পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু পান ২৩৬ ভোট।সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নে পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম সর্বাধিক ৩০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন পেয়েছেন ২২০ ভোট।এদিকে যশোর শহর আওয়ামী লীগের ২৫৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৪৩ জন ভোট দেন। এতে ১৪৬ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৯৭।সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হোসেন বিপু ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল কবির বিজুর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭৭।এছাড়া এই পদের অপর প্রার্থী আজহার হোসেন স্বপন পেয়েছেন ৪৯ ভোট।এদিকে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজয়ী প্রার্থীদের অনুসারীরা তখনই শহরে আনন্দমিছিল করেন।ফলাফল ঘোষণার পর দলীয় নেতা কর্মীরা নতুন নেতাদের গলায় ফুলের মালাপরিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে এবং দলের কেউ কেউ মিস্টি মুখ করেন।