শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যত চাপই আসুক নতুন আইন কার্যকর: সড়কমন্ত্রী

ইমরান হোসেন আশা := 

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন যে আইন হয়েছে তা যেকোনো মূল্যে কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী জানিয়েছেন, যত চাপই আসুক সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আইন কার্যকর হবে। তবে এই আইন কার্যকরে বাড়াবাড়ি না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন আইনে জরিমানা আদায় মুখ্য উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার চায় সবাই আইন মেনে চলুক। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এ আইনের প্রধান উদ্দেশ্য। আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হয়েছে।’

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নতুন আইন মেনে চলা ও যেকোনো ধরনের ধর্মঘট থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো, আন্দোলন-ধর্মঘটের চিন্তা ছেড়ে আইন মেনে গাড়ি চালান।’

নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রথমে সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগে অযথা কোনো বাড়াবাড়ি যাতে না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে যত চাপ থাকুক সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনটি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হলেও তা সহনীয়ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। যাতে সংশ্লিষ্টরা আইন সম্পর্কে ধারণা পায়। দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইনটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ আইনটি যাতে সবাই মেনে চলে সেজন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন আইনে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশের মতো চালকদের জন্য পয়েন্ট পদ্ধতি রাখা হয়েছে। অপরাধ করলেই পয়েন্ট কাটা যাবে। আবার এবারই প্রথম পরিবহন মালিকদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। ট্রাফিক ওজন সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়ি চালকদের গাড়ি চালানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগের তুলনায় সড়ক পরিবহন আইন কঠোর হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর কারণ শাস্তি দেয়া নয়, সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে শৃঙ্খলা আনাই প্রধান উদ্দেশ্য।

মন্ত্রী বলেন, যানবাহনগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

যত চাপই আসুক নতুন আইন কার্যকর: সড়কমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
ইমরান হোসেন আশা := 

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন যে আইন হয়েছে তা যেকোনো মূল্যে কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী জানিয়েছেন, যত চাপই আসুক সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আইন কার্যকর হবে। তবে এই আইন কার্যকরে বাড়াবাড়ি না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন আইনে জরিমানা আদায় মুখ্য উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার চায় সবাই আইন মেনে চলুক। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এ আইনের প্রধান উদ্দেশ্য। আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হয়েছে।’

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নতুন আইন মেনে চলা ও যেকোনো ধরনের ধর্মঘট থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো, আন্দোলন-ধর্মঘটের চিন্তা ছেড়ে আইন মেনে গাড়ি চালান।’

নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রথমে সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগে অযথা কোনো বাড়াবাড়ি যাতে না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে যত চাপ থাকুক সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনটি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হলেও তা সহনীয়ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। যাতে সংশ্লিষ্টরা আইন সম্পর্কে ধারণা পায়। দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইনটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ আইনটি যাতে সবাই মেনে চলে সেজন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন আইনে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশের মতো চালকদের জন্য পয়েন্ট পদ্ধতি রাখা হয়েছে। অপরাধ করলেই পয়েন্ট কাটা যাবে। আবার এবারই প্রথম পরিবহন মালিকদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিধান যুক্ত হয়েছে। ট্রাফিক ওজন সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়ি চালকদের গাড়ি চালানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগের তুলনায় সড়ক পরিবহন আইন কঠোর হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর কারণ শাস্তি দেয়া নয়, সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে শৃঙ্খলা আনাই প্রধান উদ্দেশ্য।

মন্ত্রী বলেন, যানবাহনগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন করে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।