রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই: প্রধানমন্ত্রী

আরহাজ্ব আব্দুল লতিফ :=

সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেরা নিজের দেশকে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই সবাই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের দেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবেন সেটাই আমি চাই।

তিনি বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, কারো কাছে মাথা নত করে নয়, বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সশস্ত্র বাহিনী সর্বাবস্থায় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, সব সময়, সর্বাবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তার ভূমিকা রেখে যাবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে।

সন্ত্রাস-মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যদি শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে তাহলে অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী, অগ্রগতি হতেই হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপদে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থাই আমরা করতে চাই।

সেনাকুঞ্জে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ শতাংশ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি। অর্থাৎ, আমরা যত বার্ষিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করি তার ৯০ শতাংশ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, দেশকে আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্রকে বাহিনীকে আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বাজেট আমরা বাড়িয়েছি। সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। অন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যকক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ভাষণদানরত প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. অধ্যাপক বদউদ্দোজা চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলনমগীরসহ অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনিতিকবৃন্দ, বিদেশি কূটনিতিকবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদকবৃন্দ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক নেতৃবৃন্দ এবং তাঁদের সহধর্মিনীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র সদস্যবৃন্দ, তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং বিদেশি কূটনিতিকসহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী এরআগে সম্প্রসারিত এবং পুণনির্মিত সেনাকুঞ্জের বর্ধিতাংশেরও উদ্বোধন করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
আরহাজ্ব আব্দুল লতিফ :=

সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেরা নিজের দেশকে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই সবাই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের দেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবেন সেটাই আমি চাই।

তিনি বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, কারো কাছে মাথা নত করে নয়, বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সশস্ত্র বাহিনী সর্বাবস্থায় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, সব সময়, সর্বাবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তার ভূমিকা রেখে যাবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে।

সন্ত্রাস-মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যদি শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে তাহলে অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী, অগ্রগতি হতেই হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপদে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থাই আমরা করতে চাই।

সেনাকুঞ্জে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ শতাংশ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি। অর্থাৎ, আমরা যত বার্ষিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করি তার ৯০ শতাংশ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, দেশকে আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্রকে বাহিনীকে আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বাজেট আমরা বাড়িয়েছি। সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। অন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যকক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ভাষণদানরত প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. অধ্যাপক বদউদ্দোজা চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলনমগীরসহ অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনিতিকবৃন্দ, বিদেশি কূটনিতিকবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদকবৃন্দ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক নেতৃবৃন্দ এবং তাঁদের সহধর্মিনীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র সদস্যবৃন্দ, তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং বিদেশি কূটনিতিকসহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী এরআগে সম্প্রসারিত এবং পুণনির্মিত সেনাকুঞ্জের বর্ধিতাংশেরও উদ্বোধন করেন।