শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে তুলকালাম, স্তম্ভিত গোটা ভারত

আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ :=

মহারাষ্ট্রে রাজ্য সরকার গঠন নিয়ে স্তম্ভিত গোটা ভারত। বৃহস্পতিবার সকালে চরম নাটকীয়তার মধ্যে রাতারাতি সরকার গঠন করে ফেলল বিজেপি, ভোরের আলো ফুটতেই উঠে গেল রাষ্ট্রপতি শাসনও এবং দুই ঘণ্টা পরেই এনসিপির একাংশ নিয়ে শপথ গ্রহণ করল বিজেপির নতুন জোট সরকার।

দ্য হিন্দু জানায়, রাজ্য ক্ষমতায় বসতে যাওয়া শিবসেনা মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ল। মুহূর্তের মধ্যে ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ল বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক এই মিত্র G এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে ক্ষমতায় বসার নানা আলোচনার মধ্যে এনসিপির একাংশ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবীস। আরও বড় চমক সৃষ্টি করে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শারদ পাওয়ারের ভাতিজা অজিত পাওয়ার।

শারদ পাওয়ার নিজে যেখানে শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেখানে তার ভাতিজা ঘরের বেড়া কেটে বসলেন। সকালের ঘুম ভাঙার আগেই তার দল হয়ে গিয়েছে দুই টুকরো।

এর মধ্য দিয়ে গত ২৮ দিনের নানা নাটকীয়তাকে হার মানাল ভোরবেলার এই রাজনীতির চাল। বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চালে সব পক্ষই ধরাশায়ী।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কোন পথে, কীভাবে, কখন এই নতুন সমীকরণ তৈরি হল- তা নিয়ে এখনো গভীর ধোঁয়াশা তৈরি হয়ে আছে।

কখন মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হল, কখন দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকার গড়ার ডাক পেলেন, কখন শপথ গ্রহণ হয়ে গেল- এ ব্যাপারে পুরাই অন্ধকারে ছিল রাজনৈতিক শিবিরের বিরাট অংশ। সকালে ঘুম ভেঙে অনেকেই মনে করলেন, এসব ভুয়া খবর বা গুজব।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে অভিনন্দন জানাতেই সব সংশয় কেটে গেল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোররাতে নয়, এ ক্ষেত্রেও আসল ‘খেলাটা’ মধ্যরাতেই হয়ে গিয়েছিল, স্কোরবোর্ডটাকে ভোরবেলা সামনে আনা হল।

মহারাষ্ট্রে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে লড়েছিল বিজেপি-শিবসেনা। নির্বাচনে জিতেই শিবসেনা জানিয়ে দেয়, মুখ্যমন্ত্রী পদ আড়াই বছরের জন্য দিতে হবে তাদের। বিজেপি তাতে রাজি না হওয়ায় এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গড়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে শিবসেনা।

রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি প্রথমে বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকেন। বিজেপি সর্বোচ্চ ১০৫ আসন পায় বিধানসভায়। কিন্তু জোটসঙ্গী শিবসেনার সমর্থন না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় বিজেপি।

এরপরে একে একে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ডাক পায় সরকার গড়ার জন্য। কিন্তু শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস এক জায়গায় না এলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব ছিল না। এ নিয়ে তিন দলের মধ্যে আলোচনায় নানা নাটকীয়তা চলতে থাকে। সরকার গঠন দীর্ঘায়িত হওয়ায় একপর্যায়ে রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।

এরপরেও শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলতে থাকে। মূলত মুখ্যমন্ত্রী পদ কার অধীনে থাকবে এ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোয় তিন দলের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সরকার গঠনের দাবিও রাজ্যপালের কাছে পেশ করা হচ্ছিল না।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার ভোর ৫টা ৪৭ নাগাদ রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয় মহারাষ্ট্র থেকে। সকাল ৮টা ৫ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফডণবীস শপথ নেন, সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। ৯টার একটু আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে ফডণবীস এবং পাওয়ারকে অভিনন্দন জানান।

কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়ল শিবসেনা। সবগুলো দলই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। কারণ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টাতেও যে শারদ পাওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে।

আনন্দবাজার পত্রিকা আরও জানায়, এদিন গভীর রাত পর্যন্ত শারদ পাওয়ারের যোগাযোগ ছিল সেনা ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। কিন্তু শনিবার সকাল হতেই দেখা গেল তার দল বিজেপির সঙ্গে রাজ্য ক্ষমতায়। আর ভাতিজা অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।

ফলে শারদ পাওয়ারের ডিগবাজিতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিবসেনা ও কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা রীতিমতো তুলোধুনো করছিলেন তাকে। কিন্তু বেলা বাড়তেই জানা গেল, তার অজান্তেই অজিত পাওয়ার তার দলের বেড়া কেটেছেন। বিজেপির সঙ্গে জোট গঠনে তার কোনো ভূমিকা নেই, এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেনও না।

এরপরেই শিবসেনা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে অজিতের বিরুদ্ধে। দলের অন্যতম প্রধান মুখ সঞ্জয় রাউত জানান, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্তও অজিত পাওয়ার তাদের সঙ্গে ছিলেন, তার পরে হঠাৎ গায়েব হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘অপরাধীরা যেমন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন, শুক্রবার রাতে অজিত পাওয়ারও তেমনই করছিলেন। কথা বলছিলেন, কিন্তু চোখ নামিয়ে।’

মুম্বাই মিরর জানিয়েছে, এনসিপির ২০ জনের মতো বিধায়ক অজিত পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছে। স্বতন্ত্র ও ছোট কয়েকটি দলের বিধায়কেরা রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। সব মিলিয়ে বিজেপির হাতে এখন ১৪০ আসন।

তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আর মাত্র ৫ বিধায়কের সমর্থন লাগবে। শিবসেনার ১৫ বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে বিজেপির দাবি। এ ছাড়া এনসিপি থেকে আরও কয়েকজন বিধায়ককে নিজের সঙ্গে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

ফলে এই মাসের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাচ্ছেন ফডনবীস। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য বিজেপিকে সময় দিয়েছে রাজ্যপাল।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে তুলকালাম, স্তম্ভিত গোটা ভারত

প্রকাশের সময় : ০৫:১৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ :=

মহারাষ্ট্রে রাজ্য সরকার গঠন নিয়ে স্তম্ভিত গোটা ভারত। বৃহস্পতিবার সকালে চরম নাটকীয়তার মধ্যে রাতারাতি সরকার গঠন করে ফেলল বিজেপি, ভোরের আলো ফুটতেই উঠে গেল রাষ্ট্রপতি শাসনও এবং দুই ঘণ্টা পরেই এনসিপির একাংশ নিয়ে শপথ গ্রহণ করল বিজেপির নতুন জোট সরকার।

দ্য হিন্দু জানায়, রাজ্য ক্ষমতায় বসতে যাওয়া শিবসেনা মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ল। মুহূর্তের মধ্যে ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ল বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক এই মিত্র G এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে ক্ষমতায় বসার নানা আলোচনার মধ্যে এনসিপির একাংশ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবীস। আরও বড় চমক সৃষ্টি করে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শারদ পাওয়ারের ভাতিজা অজিত পাওয়ার।

শারদ পাওয়ার নিজে যেখানে শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেখানে তার ভাতিজা ঘরের বেড়া কেটে বসলেন। সকালের ঘুম ভাঙার আগেই তার দল হয়ে গিয়েছে দুই টুকরো।

এর মধ্য দিয়ে গত ২৮ দিনের নানা নাটকীয়তাকে হার মানাল ভোরবেলার এই রাজনীতির চাল। বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চালে সব পক্ষই ধরাশায়ী।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কোন পথে, কীভাবে, কখন এই নতুন সমীকরণ তৈরি হল- তা নিয়ে এখনো গভীর ধোঁয়াশা তৈরি হয়ে আছে।

কখন মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হল, কখন দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকার গড়ার ডাক পেলেন, কখন শপথ গ্রহণ হয়ে গেল- এ ব্যাপারে পুরাই অন্ধকারে ছিল রাজনৈতিক শিবিরের বিরাট অংশ। সকালে ঘুম ভেঙে অনেকেই মনে করলেন, এসব ভুয়া খবর বা গুজব।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে অভিনন্দন জানাতেই সব সংশয় কেটে গেল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোররাতে নয়, এ ক্ষেত্রেও আসল ‘খেলাটা’ মধ্যরাতেই হয়ে গিয়েছিল, স্কোরবোর্ডটাকে ভোরবেলা সামনে আনা হল।

মহারাষ্ট্রে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে লড়েছিল বিজেপি-শিবসেনা। নির্বাচনে জিতেই শিবসেনা জানিয়ে দেয়, মুখ্যমন্ত্রী পদ আড়াই বছরের জন্য দিতে হবে তাদের। বিজেপি তাতে রাজি না হওয়ায় এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গড়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে শিবসেনা।

রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি প্রথমে বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকেন। বিজেপি সর্বোচ্চ ১০৫ আসন পায় বিধানসভায়। কিন্তু জোটসঙ্গী শিবসেনার সমর্থন না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় বিজেপি।

এরপরে একে একে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ডাক পায় সরকার গড়ার জন্য। কিন্তু শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস এক জায়গায় না এলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব ছিল না। এ নিয়ে তিন দলের মধ্যে আলোচনায় নানা নাটকীয়তা চলতে থাকে। সরকার গঠন দীর্ঘায়িত হওয়ায় একপর্যায়ে রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।

এরপরেও শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলতে থাকে। মূলত মুখ্যমন্ত্রী পদ কার অধীনে থাকবে এ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোয় তিন দলের পক্ষ থেকে যৌথভাবে সরকার গঠনের দাবিও রাজ্যপালের কাছে পেশ করা হচ্ছিল না।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার ভোর ৫টা ৪৭ নাগাদ রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয় মহারাষ্ট্র থেকে। সকাল ৮টা ৫ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফডণবীস শপথ নেন, সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। ৯টার একটু আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে ফডণবীস এবং পাওয়ারকে অভিনন্দন জানান।

কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়ল শিবসেনা। সবগুলো দলই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। কারণ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টাতেও যে শারদ পাওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে।

আনন্দবাজার পত্রিকা আরও জানায়, এদিন গভীর রাত পর্যন্ত শারদ পাওয়ারের যোগাযোগ ছিল সেনা ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। কিন্তু শনিবার সকাল হতেই দেখা গেল তার দল বিজেপির সঙ্গে রাজ্য ক্ষমতায়। আর ভাতিজা অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।

ফলে শারদ পাওয়ারের ডিগবাজিতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিবসেনা ও কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা রীতিমতো তুলোধুনো করছিলেন তাকে। কিন্তু বেলা বাড়তেই জানা গেল, তার অজান্তেই অজিত পাওয়ার তার দলের বেড়া কেটেছেন। বিজেপির সঙ্গে জোট গঠনে তার কোনো ভূমিকা নেই, এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেনও না।

এরপরেই শিবসেনা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে অজিতের বিরুদ্ধে। দলের অন্যতম প্রধান মুখ সঞ্জয় রাউত জানান, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্তও অজিত পাওয়ার তাদের সঙ্গে ছিলেন, তার পরে হঠাৎ গায়েব হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘অপরাধীরা যেমন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন, শুক্রবার রাতে অজিত পাওয়ারও তেমনই করছিলেন। কথা বলছিলেন, কিন্তু চোখ নামিয়ে।’

মুম্বাই মিরর জানিয়েছে, এনসিপির ২০ জনের মতো বিধায়ক অজিত পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছে। স্বতন্ত্র ও ছোট কয়েকটি দলের বিধায়কেরা রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। সব মিলিয়ে বিজেপির হাতে এখন ১৪০ আসন।

তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আর মাত্র ৫ বিধায়কের সমর্থন লাগবে। শিবসেনার ১৫ বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে বিজেপির দাবি। এ ছাড়া এনসিপি থেকে আরও কয়েকজন বিধায়ককে নিজের সঙ্গে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

ফলে এই মাসের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাচ্ছেন ফডনবীস। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য বিজেপিকে সময় দিয়েছে রাজ্যপাল।