শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি সমাবেশের আর অনুমতি নেবে না : ফখরুল

আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=

আজকের পর থেকে বিএনপি সমাবেশ করতে আর কোনো অনুমতি নেবে না উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের এ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সকাল ১০টায়। এখন থেকে আমাদের সমাবেশ আমরা যখন প্রয়োজন হবে করব। আমরা রাজপথে নামব, এটা আমাদের অধিকার। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার যে, আমি প্রতিবাদ করতে পারব। মির্জা ফখরুল বলেন, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আজকে কোনো বিভক্তি না হয়ে আমাদের আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। এখন অন্য কোনো স্লোগান না দিয়ে সবাই স্লোগান দেবেন, ‘এই সরকার নিপাত যাক’। রোববার  বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করুন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে জনগণই এ দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

খালেদা জিয়াকে প্রায় ২০ মাস ধরে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কোনো রকম কোনো কিছুতে জড়িত না থাকার পরও শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ একই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছিল সবগুলো তুলে নেয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল চারটি, যা এখন হয়েছে ৩৭টি। প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে মামলা ছিল ১৫টি, যা সব তুলে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোর করে দখলদারি হয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের সমর্থন দেশের মানুষের নয়। তাদের অস্ত্র ভিন্নখানে, যারা তাদের ক্ষমতায় রেখেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার সবদিক দিয়ে ব্যর্থ। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে। তারা আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। শেয়ারবাজার লুট করে নিয়েছে। ব্যাংকগুলো চলতে পারছে না। বিচার বিভাগ একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তারা সরকার চালাতে চায়।

শনিবার রাতে নিহত ‘বিএনপিপাগল রিজভী হাওলাদারের’ কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। সারাক্ষণ এই কার্যালয়ের সামনে থেকে তিনি আমাদের নেত্রীর মুক্তি চাইতেন, গণতন্ত্রের মুক্তি চাইতেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বিএনপি সমাবেশের আর অনুমতি নেবে না : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান :=

আজকের পর থেকে বিএনপি সমাবেশ করতে আর কোনো অনুমতি নেবে না উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের এ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সকাল ১০টায়। এখন থেকে আমাদের সমাবেশ আমরা যখন প্রয়োজন হবে করব। আমরা রাজপথে নামব, এটা আমাদের অধিকার। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার যে, আমি প্রতিবাদ করতে পারব। মির্জা ফখরুল বলেন, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আজকে কোনো বিভক্তি না হয়ে আমাদের আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। এখন অন্য কোনো স্লোগান না দিয়ে সবাই স্লোগান দেবেন, ‘এই সরকার নিপাত যাক’। রোববার  বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করুন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে জনগণই এ দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

খালেদা জিয়াকে প্রায় ২০ মাস ধরে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কোনো রকম কোনো কিছুতে জড়িত না থাকার পরও শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ একই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছিল সবগুলো তুলে নেয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল চারটি, যা এখন হয়েছে ৩৭টি। প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে মামলা ছিল ১৫টি, যা সব তুলে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোর করে দখলদারি হয়ে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের সমর্থন দেশের মানুষের নয়। তাদের অস্ত্র ভিন্নখানে, যারা তাদের ক্ষমতায় রেখেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার সবদিক দিয়ে ব্যর্থ। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে। তারা আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। শেয়ারবাজার লুট করে নিয়েছে। ব্যাংকগুলো চলতে পারছে না। বিচার বিভাগ একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তারা সরকার চালাতে চায়।

শনিবার রাতে নিহত ‘বিএনপিপাগল রিজভী হাওলাদারের’ কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। সারাক্ষণ এই কার্যালয়ের সামনে থেকে তিনি আমাদের নেত্রীর মুক্তি চাইতেন, গণতন্ত্রের মুক্তি চাইতেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।