শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেবে বুঝতে পারিনি: কৃষিমন্ত্রী

মো: ইদ্রিস আলী :=

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা সরকার বুঝতে পারেনি বলে জানিয়ছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কৃষক পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় মজুদ করতে পারেননি, এখানে ঘাটতি ছিল। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা আমরা বুঝতে পারিনি। এখানে আমাদের হয়ত ভুল থাকতে পারে। আমাদের আগেই একটা জরিপ করা দরকার ছিল যে কতটা উৎপাদন হয়েছে আর কতটুকু আমদানি করব।’

দেশে ২৫ থেকে ২৬ লাখ টন পেঁয়াজের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বাইরে থেকে ৩০০ বা ৫০০ টন আসছে। ব্যবসায়ীরা তা ফলাও করে প্রচার করছেন। এতে হয়ত এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, কিন্তু বাজারে এর প্রভাব পড়ে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো পণ্যের দাম নির্ভর করবে চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর- কী পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, কী পরিমাণ সরবরাহ হচ্ছে। র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ কোনো কিছু দিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’

এর আগে মন্ত্রী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেবে বুঝতে পারিনি: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
মো: ইদ্রিস আলী :=

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা সরকার বুঝতে পারেনি বলে জানিয়ছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কৃষক পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় মজুদ করতে পারেননি, এখানে ঘাটতি ছিল। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেবে তা আমরা বুঝতে পারিনি। এখানে আমাদের হয়ত ভুল থাকতে পারে। আমাদের আগেই একটা জরিপ করা দরকার ছিল যে কতটা উৎপাদন হয়েছে আর কতটুকু আমদানি করব।’

দেশে ২৫ থেকে ২৬ লাখ টন পেঁয়াজের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বাইরে থেকে ৩০০ বা ৫০০ টন আসছে। ব্যবসায়ীরা তা ফলাও করে প্রচার করছেন। এতে হয়ত এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, কিন্তু বাজারে এর প্রভাব পড়ে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো পণ্যের দাম নির্ভর করবে চাহিদা এবং সরবরাহের ওপর- কী পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, কী পরিমাণ সরবরাহ হচ্ছে। র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ কোনো কিছু দিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’

এর আগে মন্ত্রী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।