শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু জর্জ হ্যারিসন

মো: ইদ্রিস আলী :=

বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত দল ‘দ্য বিটল্স’-এর চার সদস্যের একজন ছিলেন তিনি। বাংলাদেশিদের কাছে খুবই পরিচিত তিনি। কারণ ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের বন্ধু ছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য তিনি আয়োজন করেছিলেন ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।

আজ জর্জ হ্যারিসনের মৃত্যুদিবস। ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর হ্যারিসন ৫৮ বছর বয়সে মেটাস্টাটিক নন-স্মল সেল লাং ক্যানসারে মারা যান। হলিউড ফর এভার সিমেট্রিতে তাকে দাহ করা হয়। এরপর তার দেহভস্ম ভারতের কাশির নিকট গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পারিবারিক লোকেরা ভারতের হিন্দুরীতিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।

তিনি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের ল্যাংশায়েরের লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম হ্যারল্ড হার্গ্রিভিস হ্যারিসন এবং মায়ের নাম লুইসে। হ্যারিসন ছিলেন পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে চতুর্থ। তার বাবা ছিলেন হোয়াইট স্টার লাইনের বাস কন্ডাক্টর। মা ছিলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত এবং লিভারপুলের একটি দোকানের কর্মী।

হ্যারিসনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় পেনি লেনের নিকটবর্তী ডাভডেল প্রাইমারি স্কুলে। এখান থেকে তিনি ১১-প্লাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে খরাবৎঢ়ড়ড়ষ ওহংঃরঃঁঃব ভড়ৎ ইড়ুং-এ ভর্তি হন। সেখানে তিনি ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে হ্যারিসনের জন্য প্রথমদিকে গিটার কিনে দিতে পারেননি তার মামা-বাবা। পরে তার মা একটি গিটার কিনে দেন। এই প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে স্কিফ নামক একটি গানের দল তৈরি করেন। একদিন স্কুলবাসে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পল ম্যাককার্টনির। এই পল ম্যাককার্টনি এবং জন লেনন মিলে তৈরি করেছিলেন ‘দ্য কোয়ারিমেন’ নামক একটি ব্যান্ড। পরে সেটারই নামকরণ হয় দিগ্বিজয়ী দ্য বিটলস। ১৯৫৮ সালে হ্যারিসন সেই ব্যান্ডে যোগদান করেন। বিটলসে সবার ছোট ছিলেন হ্যারিসন। ১৫ বছর বয়সে হ্যারিসন ব্যান্ডের পুরোদস্তুর সদস্য হয়ে যান।

১৯৭১ সালে যুদ্ধের বিভীষিকায় রক্তাক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার ফলে প্রায় এক কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নেয়। এত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীদের ভরণ-পোষণ করতে গিয়ে ত্রাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা দেখা দেয়। এই দৃশ্য দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি বিশ্বখ্যাত সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর। তিনি কথা বললেন জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে। রবিশঙ্কর তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হ্যারিসনকে যুক্তরাষ্ট্রে দাতব্য সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনের কথা বললেন। হ্যারিসন বন্ধুর প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং তার বন্ধুদের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।

মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে কনসার্টের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। হ্যারিসন সবার আগে বিটলসের সদস্যদের কনসার্টে যোগ দিতে বলেন। পল ম্যাকার্টনি সরাসরি অস্বীকৃতি জানান, কেননা তখন দলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। জন লেনন অনুষ্ঠানে আসতে রাজি ছিলেন; কিন্তু সে সময় আদালতে তার সন্তানের ব্যাপারে স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সঙ্গে আইনি লড়াই চলছিল। আর মিক দ্যাগার ছিলেন ফ্রান্সে, ভিসা জটিলতার কারণে তার পক্ষেও কনসার্টে অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি। শেষতক বিটলসের একমাত্র রিঙ্গোস্টার যোগ দিতে সক্ষম হন। সঙ্গে আরো যোগ দেন- বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি ব্রিস্টন, হ্যারিসনের নতুন দল ব্যাড সিঙ্গারাসহ আরো অনেকে।

এটিই ছিল বিটলস ভাঙার পরে জর্জ হ্যারিসন প্রথম কনসার্ট। এই কনসার্টের নামকরণ হয় ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। ১৯৭১ সালের আগস্টের প্রথম দিবসের ওই কনসার্টে  মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনের ৪০ হাজার আসনের মধ্যে একটিও খালি ছিল না। বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত হওয়া কনসার্টটি দুভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও তার দলের পরিবেশনা এবং শেষ পর্বে হ্যারিসন ও অন্যদের। মঞ্চে জর্জ হ্যারিসন ও অন্যরা একে একে পরিবেশন করেন- সামথিং, ইট ডোন্ট কাম ইজি, বিওয়ার অব দ্য ডার্কনেস, হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস, জাম্পিন জেক ফ্লাশ, ইয়ংব্লাড, হেয়ার কামস দ্য সান, অ্যা হার্ড রেইন’স অ্যা গোন্না ফল, প্লেইন ইন দ্য উইন্ড, ইট টেকস অ্যা লট টু লাভ-ইট টেকস অ্যা ট্রেন টু ক্লাই, জাস্ট লাইক অ্যা উইমেন, মাই সুইট লর্ড, অ্যাওয়েটিং অন ইউ, অল, লাভ মাইনাস জিরো, হেয়ার মি লর্ড, মি. টাম্বোর্নি ম্যান। কনসার্টের ইতি টানা হয় জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান ‘বাংলাদেশ’ দিয়ে। কনসার্টের জন্য গানটি বিশেষভাবে রচিত হয়।

এই কনসার্ট থেকে সংগৃহীত ২,৫০,০০০ ডলার বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। ওই কনসার্ট থেকেই বিশ্ববাসী জেনেছিল সভ্যতার ভয়াবহ গণহত্যা ও ধ্বংসের মাঝে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। সেই থেকে বাংলাদেশের জনগণের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন জর্জ হ্যারিসন।

মূলত লিড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি অ্যালবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লেখা ও সুর দেওয়া দু-একটি একক গান থাকত যা তার প্রতিভার পরিচায়ক ছিল। বিটলসের হয়ে তার সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গীটার জেন্টলি উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান ও সামথিং ইত্যাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধু জর্জ হ্যারিসন

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
মো: ইদ্রিস আলী :=

বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত দল ‘দ্য বিটল্স’-এর চার সদস্যের একজন ছিলেন তিনি। বাংলাদেশিদের কাছে খুবই পরিচিত তিনি। কারণ ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের বন্ধু ছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য তিনি আয়োজন করেছিলেন ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।

আজ জর্জ হ্যারিসনের মৃত্যুদিবস। ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর হ্যারিসন ৫৮ বছর বয়সে মেটাস্টাটিক নন-স্মল সেল লাং ক্যানসারে মারা যান। হলিউড ফর এভার সিমেট্রিতে তাকে দাহ করা হয়। এরপর তার দেহভস্ম ভারতের কাশির নিকট গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পারিবারিক লোকেরা ভারতের হিন্দুরীতিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।

তিনি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের ল্যাংশায়েরের লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম হ্যারল্ড হার্গ্রিভিস হ্যারিসন এবং মায়ের নাম লুইসে। হ্যারিসন ছিলেন পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে চতুর্থ। তার বাবা ছিলেন হোয়াইট স্টার লাইনের বাস কন্ডাক্টর। মা ছিলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত এবং লিভারপুলের একটি দোকানের কর্মী।

হ্যারিসনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় পেনি লেনের নিকটবর্তী ডাভডেল প্রাইমারি স্কুলে। এখান থেকে তিনি ১১-প্লাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে খরাবৎঢ়ড়ড়ষ ওহংঃরঃঁঃব ভড়ৎ ইড়ুং-এ ভর্তি হন। সেখানে তিনি ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে হ্যারিসনের জন্য প্রথমদিকে গিটার কিনে দিতে পারেননি তার মামা-বাবা। পরে তার মা একটি গিটার কিনে দেন। এই প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে স্কিফ নামক একটি গানের দল তৈরি করেন। একদিন স্কুলবাসে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পল ম্যাককার্টনির। এই পল ম্যাককার্টনি এবং জন লেনন মিলে তৈরি করেছিলেন ‘দ্য কোয়ারিমেন’ নামক একটি ব্যান্ড। পরে সেটারই নামকরণ হয় দিগ্বিজয়ী দ্য বিটলস। ১৯৫৮ সালে হ্যারিসন সেই ব্যান্ডে যোগদান করেন। বিটলসে সবার ছোট ছিলেন হ্যারিসন। ১৫ বছর বয়সে হ্যারিসন ব্যান্ডের পুরোদস্তুর সদস্য হয়ে যান।

১৯৭১ সালে যুদ্ধের বিভীষিকায় রক্তাক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার ফলে প্রায় এক কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নেয়। এত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীদের ভরণ-পোষণ করতে গিয়ে ত্রাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা দেখা দেয়। এই দৃশ্য দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি বিশ্বখ্যাত সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর। তিনি কথা বললেন জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে। রবিশঙ্কর তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হ্যারিসনকে যুক্তরাষ্ট্রে দাতব্য সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনের কথা বললেন। হ্যারিসন বন্ধুর প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং তার বন্ধুদের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।

মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে কনসার্টের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। হ্যারিসন সবার আগে বিটলসের সদস্যদের কনসার্টে যোগ দিতে বলেন। পল ম্যাকার্টনি সরাসরি অস্বীকৃতি জানান, কেননা তখন দলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। জন লেনন অনুষ্ঠানে আসতে রাজি ছিলেন; কিন্তু সে সময় আদালতে তার সন্তানের ব্যাপারে স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সঙ্গে আইনি লড়াই চলছিল। আর মিক দ্যাগার ছিলেন ফ্রান্সে, ভিসা জটিলতার কারণে তার পক্ষেও কনসার্টে অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি। শেষতক বিটলসের একমাত্র রিঙ্গোস্টার যোগ দিতে সক্ষম হন। সঙ্গে আরো যোগ দেন- বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি ব্রিস্টন, হ্যারিসনের নতুন দল ব্যাড সিঙ্গারাসহ আরো অনেকে।

এটিই ছিল বিটলস ভাঙার পরে জর্জ হ্যারিসন প্রথম কনসার্ট। এই কনসার্টের নামকরণ হয় ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। ১৯৭১ সালের আগস্টের প্রথম দিবসের ওই কনসার্টে  মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনের ৪০ হাজার আসনের মধ্যে একটিও খালি ছিল না। বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত হওয়া কনসার্টটি দুভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও তার দলের পরিবেশনা এবং শেষ পর্বে হ্যারিসন ও অন্যদের। মঞ্চে জর্জ হ্যারিসন ও অন্যরা একে একে পরিবেশন করেন- সামথিং, ইট ডোন্ট কাম ইজি, বিওয়ার অব দ্য ডার্কনেস, হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস, জাম্পিন জেক ফ্লাশ, ইয়ংব্লাড, হেয়ার কামস দ্য সান, অ্যা হার্ড রেইন’স অ্যা গোন্না ফল, প্লেইন ইন দ্য উইন্ড, ইট টেকস অ্যা লট টু লাভ-ইট টেকস অ্যা ট্রেন টু ক্লাই, জাস্ট লাইক অ্যা উইমেন, মাই সুইট লর্ড, অ্যাওয়েটিং অন ইউ, অল, লাভ মাইনাস জিরো, হেয়ার মি লর্ড, মি. টাম্বোর্নি ম্যান। কনসার্টের ইতি টানা হয় জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান ‘বাংলাদেশ’ দিয়ে। কনসার্টের জন্য গানটি বিশেষভাবে রচিত হয়।

এই কনসার্ট থেকে সংগৃহীত ২,৫০,০০০ ডলার বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। ওই কনসার্ট থেকেই বিশ্ববাসী জেনেছিল সভ্যতার ভয়াবহ গণহত্যা ও ধ্বংসের মাঝে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। সেই থেকে বাংলাদেশের জনগণের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন জর্জ হ্যারিসন।

মূলত লিড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি অ্যালবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লেখা ও সুর দেওয়া দু-একটি একক গান থাকত যা তার প্রতিভার পরিচায়ক ছিল। বিটলসের হয়ে তার সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গীটার জেন্টলি উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান ও সামথিং ইত্যাদি।