বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নেতৃত্বে চমক আসছে আ’লীগে, নতুন তালিকা শেখ হাসিনার হাতে

নুরুজ্জামান লিটন : ঢাকা থেকে :=

আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনে নেতৃত্বের যে পরিবর্তন হয়েছে সেই ধারাবাহিকতা থাকবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলেও। সে বিবেচনায় বর্তমান কমিটির নিস্ক্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেয়া হবে। এতদিন যারা সংগঠনকে উপেক্ষা করে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন, তাদেরও রাখা হবে না কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

সম্পাদকমণ্ডলীর যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনে সাফল্য দেখাতে পারেননি তাদেরও বিদায় করা হবে। নির্বাচন কমিশনের বাধ্যতা থাকায় এবারও বাড়ানো হচ্ছে নারীর সংখ্যা। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর ৮১-ই থাকছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে যাদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন তারাই স্থান পাবেন কমিটিতে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটিতে আসছে চমক। বর্তমান কমিটির নেতাদের এবং সম্ভাব্য কারা আসছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এর একটি তালিকা এখন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তিনি এখন হোম ওয়ার্ক করছেন। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। এই কাউন্সিলকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে তিনটি সহযোগী ও একটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন করা হয়েছে। আজ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ ছাড়াও ইতোমধ্যে ৭টি জেলা ও অর্ধশত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন সফল করতে ১০টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। কমিটিগুলো সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে মঞ্চ সাজসজ্জা, গঠনতন্ত্র উপমন্ত্রী ও অভ্যর্থনা উপ-কমিটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সবচেয়ে আগ্রহ থাকে গঠনতন্ত্রের সংশোধনীগুলো। গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার গঠনতন্ত্রে বড় কোনো চমক থাকছে না। সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না; কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৮১-ই থাকছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে এতদিন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সহযোগী সংগঠন ছিল। এখন থেকে ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ’ সহযোগী সংগঠন এবং মৎস্যজীবী লীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আইনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। এবারও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৩ জন নারী রয়েছেন। গঠনতন্ত্র সংশোধনীর সঙ্গে যুক্ত একাধিক সদস্য জানিয়েছেন আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদটি আইন বিচার ও নির্বাচন বিষয়ক সম্পাদক করা হতে পারে। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদটি তথ্য, গবেষণা ও প্রশিক্ষক বিষয়ক সম্পাদক করা হতে পারে।

নতুন নেতৃত্বে কারা আসবেন তা নিয়ে দলের নবীন-প্রবীণ নেতাদের আমলনামার বিশ্লেষণ চলছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতেই একটি সদস্য ও প্রেসিডিয়ামের দুটি সদস্য পদ খালি আছে। সেগুলো এই মুহূর্তে নয়, সম্মেলনের পর পূরণ করা হবে। এবারের সম্মেলনে বয়সজনিত কারণে এবং বিগত সময়ে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালনকালে নানা বিতর্কের কারণে প্রেসিডিয়াম থেকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান হবে কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার। এ ছাড়া দীর্ঘদিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে দেখা যেতে পারে প্রেসিডিয়ামে। কেউ কেউ রয়েছেন বাদের তালিকাতেও। দুই বা তারও বেশি সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন সম্পাদকম-লীর দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, যাদের কার্যকৃতি ভালো তাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেখা যেতে পারে। আর যারা দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করলেও সাংগঠনিকভাবে অদক্ষ, বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে, জনসম্পৃক্ততা হারিয়েছেন তাদের বাদ দেয়া হতে পারে। এসব পদে এবার দেখা যাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতাদের। যাদের ইমেজ স্বচ্ছ, জনপ্রিয়তা আছে, মেধাবী ও তরুণ- এমন বেশ কয়েকজন নেতার ঠাঁই হবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। যারা বর্তমানে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তাদের কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন কমিটি থেকে। আবার কাউকে কাউকে শুধু সদস্য করা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল ও সরকারকে আলাদা করার কথা বলে আসছেন।

সম্পাদকমণ্ডলীর অনেক সদস্য মন্ত্রিসভায়, আগামী সম্মেলনে সরকার ও দল আলাদা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ডিসাইড করার মালিক আমাদের সভানেত্রী। গঠনতন্ত্রে এই ক্ষমতা দেয়া আছে। আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, তিনি নির্ধারণ করবেন কে আসবে দলে। আমাদের দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আরো কেউ অপরিহার্য নন। পরিষ্কার বলতে চাই, আমরা কেউই অপরিহার্য নই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে পরিবর্তনের যে ধারা শুরু করেছেন, তা ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান হয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাদের কেউই আর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদেই এবার চমক থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবার আমলনামা আছে। তিনি কাউকেই ছাড় দেবেন না। তিনি দলকে জনপ্রিয় করে গড়ে তুলবেন। তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আজ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব আসার পরই বোঝা যাবে, কেন্দ্রে কেমন নেতৃত্ব আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

নেতৃত্বে চমক আসছে আ’লীগে, নতুন তালিকা শেখ হাসিনার হাতে

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
নুরুজ্জামান লিটন : ঢাকা থেকে :=

আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনে নেতৃত্বের যে পরিবর্তন হয়েছে সেই ধারাবাহিকতা থাকবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলেও। সে বিবেচনায় বর্তমান কমিটির নিস্ক্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেয়া হবে। এতদিন যারা সংগঠনকে উপেক্ষা করে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন, তাদেরও রাখা হবে না কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

সম্পাদকমণ্ডলীর যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনে সাফল্য দেখাতে পারেননি তাদেরও বিদায় করা হবে। নির্বাচন কমিশনের বাধ্যতা থাকায় এবারও বাড়ানো হচ্ছে নারীর সংখ্যা। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর ৮১-ই থাকছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে যাদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন তারাই স্থান পাবেন কমিটিতে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটিতে আসছে চমক। বর্তমান কমিটির নেতাদের এবং সম্ভাব্য কারা আসছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এর একটি তালিকা এখন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তিনি এখন হোম ওয়ার্ক করছেন। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। এই কাউন্সিলকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে তিনটি সহযোগী ও একটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন করা হয়েছে। আজ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ ছাড়াও ইতোমধ্যে ৭টি জেলা ও অর্ধশত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন সফল করতে ১০টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। কমিটিগুলো সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে মঞ্চ সাজসজ্জা, গঠনতন্ত্র উপমন্ত্রী ও অভ্যর্থনা উপ-কমিটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সবচেয়ে আগ্রহ থাকে গঠনতন্ত্রের সংশোধনীগুলো। গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার গঠনতন্ত্রে বড় কোনো চমক থাকছে না। সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না; কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৮১-ই থাকছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে এতদিন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সহযোগী সংগঠন ছিল। এখন থেকে ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ’ সহযোগী সংগঠন এবং মৎস্যজীবী লীগকে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আইনে বলা হয়েছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। এবারও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৩ জন নারী রয়েছেন। গঠনতন্ত্র সংশোধনীর সঙ্গে যুক্ত একাধিক সদস্য জানিয়েছেন আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদটি আইন বিচার ও নির্বাচন বিষয়ক সম্পাদক করা হতে পারে। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদটি তথ্য, গবেষণা ও প্রশিক্ষক বিষয়ক সম্পাদক করা হতে পারে।

নতুন নেতৃত্বে কারা আসবেন তা নিয়ে দলের নবীন-প্রবীণ নেতাদের আমলনামার বিশ্লেষণ চলছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতেই একটি সদস্য ও প্রেসিডিয়ামের দুটি সদস্য পদ খালি আছে। সেগুলো এই মুহূর্তে নয়, সম্মেলনের পর পূরণ করা হবে। এবারের সম্মেলনে বয়সজনিত কারণে এবং বিগত সময়ে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালনকালে নানা বিতর্কের কারণে প্রেসিডিয়াম থেকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান হবে কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার। এ ছাড়া দীর্ঘদিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে দেখা যেতে পারে প্রেসিডিয়ামে। কেউ কেউ রয়েছেন বাদের তালিকাতেও। দুই বা তারও বেশি সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন সম্পাদকম-লীর দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, যাদের কার্যকৃতি ভালো তাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেখা যেতে পারে। আর যারা দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করলেও সাংগঠনিকভাবে অদক্ষ, বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে, জনসম্পৃক্ততা হারিয়েছেন তাদের বাদ দেয়া হতে পারে। এসব পদে এবার দেখা যাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতাদের। যাদের ইমেজ স্বচ্ছ, জনপ্রিয়তা আছে, মেধাবী ও তরুণ- এমন বেশ কয়েকজন নেতার ঠাঁই হবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। যারা বর্তমানে মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তাদের কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন কমিটি থেকে। আবার কাউকে কাউকে শুধু সদস্য করা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল ও সরকারকে আলাদা করার কথা বলে আসছেন।

সম্পাদকমণ্ডলীর অনেক সদস্য মন্ত্রিসভায়, আগামী সম্মেলনে সরকার ও দল আলাদা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ডিসাইড করার মালিক আমাদের সভানেত্রী। গঠনতন্ত্রে এই ক্ষমতা দেয়া আছে। আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, তিনি নির্ধারণ করবেন কে আসবে দলে। আমাদের দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আরো কেউ অপরিহার্য নন। পরিষ্কার বলতে চাই, আমরা কেউই অপরিহার্য নই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে পরিবর্তনের যে ধারা শুরু করেছেন, তা ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান হয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাদের কেউই আর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদেই এবার চমক থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবার আমলনামা আছে। তিনি কাউকেই ছাড় দেবেন না। তিনি দলকে জনপ্রিয় করে গড়ে তুলবেন। তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আজ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব আসার পরই বোঝা যাবে, কেন্দ্রে কেমন নেতৃত্ব আসবে।