শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বিল পাস

আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ :=

চীনের উইঘুর মুসলিমদের ‘নির্বিচার আটক, নির্যাতন এবং হয়রানির’ বিরুদ্ধে একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।বিলে চীন সরকারের ‘কিছু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের কথা বলা হয়েছে।বিশেষ করে বিলে জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলটি সিনেট এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদন করলে চূড়ান্ত হবে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জিনজিয়াং ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’।

বিবিসি জানায়, হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে পাস হওয়া বিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সই করার কয়েক দিন পর এই বিল পাস হলো। ওই বিলের প্রতিবাদে হংকংয়ে মার্কিন সামরিক নৌযানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন।এর আগে অক্টোবরে চীনের ২৮ সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জিনজিয়াং প্রদেশে চলমান উইঘুর নির্যাতনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়। এনটিটি লিস্ট’ নামের একটি তালিকায় সংস্থাগুলোকে রাখা হয়েছে। তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থার পণ্য বিক্রি করতে ওয়াশিংটনের অনুমোদন লাগবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক করে মুসলিম উইঘুরদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে বেইজিং। যদিও চীন বলছে উগ্রপন্থা প্রতিরোধে তাদের ‘শুদ্ধি কেন্দ্রে’ রাখা হয়েছে।উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অনেক দেশই সোচ্চার। গত জুলাইয়ে বিশটির বেশি দেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করে।এদিকে উইঘুর মুসলিমদের হত্যা করে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। এ ঘটনাকে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার সঙ্গেও তুলনা করে মানবাধিকার কাউন্সিল।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বিল পাস

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ :=

চীনের উইঘুর মুসলিমদের ‘নির্বিচার আটক, নির্যাতন এবং হয়রানির’ বিরুদ্ধে একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।বিলে চীন সরকারের ‘কিছু সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের কথা বলা হয়েছে।বিশেষ করে বিলে জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলটি সিনেট এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুমোদন করলে চূড়ান্ত হবে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জিনজিয়াং ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’।

বিবিসি জানায়, হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে পাস হওয়া বিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সই করার কয়েক দিন পর এই বিল পাস হলো। ওই বিলের প্রতিবাদে হংকংয়ে মার্কিন সামরিক নৌযানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন।এর আগে অক্টোবরে চীনের ২৮ সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জিনজিয়াং প্রদেশে চলমান উইঘুর নির্যাতনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়। এনটিটি লিস্ট’ নামের একটি তালিকায় সংস্থাগুলোকে রাখা হয়েছে। তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থার পণ্য বিক্রি করতে ওয়াশিংটনের অনুমোদন লাগবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক করে মুসলিম উইঘুরদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে বেইজিং। যদিও চীন বলছে উগ্রপন্থা প্রতিরোধে তাদের ‘শুদ্ধি কেন্দ্রে’ রাখা হয়েছে।উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অনেক দেশই সোচ্চার। গত জুলাইয়ে বিশটির বেশি দেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করে।এদিকে উইঘুর মুসলিমদের হত্যা করে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। এ ঘটনাকে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার সঙ্গেও তুলনা করে মানবাধিকার কাউন্সিল।